
মোর রুপসী বাংলা,
কারিমা খাঁন দুলারী
খুলনা জেলা ফুলতলা।
এই রুপসী বাংলা মোর সোনার চেয়ে খাঁটি
সোনার ফসল উর্বর করে এই বাংলার মাটি।
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা এই অপরুপ গাঁয়ে
মোরা শিশিরে ভেজা ঘাসে হাঁটি খালি পায়ে।
ঐ মাঠ ভরা পাকা ধানের ঘ্রাণে ছুটে আসি
রাখালের বাঁশির সুর আমি কি যে ভালোবাসি।
সবুজে ঘেরা গ্রাম কি অপরুপ দেখার নেই শেষ
এ যে মোর জন্মভূমি প্রিয় ভালোবাসার দেশ।
ফূলে ফুলে ভরে আছে মোর প্রকৃতির ঐ বনে
কি যে শোভা ছড়িয়ে পড়ে ঐ পাখিদের গানে।
নিপুণ ঠোঁটে বাসা বাঁধে পাখিরা মনের মত করে
ঐ গোধূলি লগ্নে ঝাঁকে ঝাঁক ফিরে আসে নীড়ে।
মোর দেশের কৃষক কৃষাণি জাগে ভোর বিহানে
কত সুখে বসত করে সুখে আনন্দ করে জীবনে।
মোর গাঁয়ে কলসি কাঁখে বধু ঐ জল ভরিতে যায়
মাঝিদের গান শুনে বধু বারে বার পিছু ফিরে চায়।
এই হেমন্তের দিনে ফোঁটে কৃষকের মুখে মৃদু হাঁসি
সোনার ফসল ঘরে তুলে কৃষকের মনে খুব খুশী।
ভোরের আলো ঐ গগনে সূর্য ওঠে যেন হেঁসে
ঐ কানুনে ফোঁটে ফুল প্রকৃতির মধুর পরশে।
এই ফাগুনে ককিল ডাকে শুনি কুহু কুহু সুরে
হৃদয় মন উতলা করে ছুটে আসি নদীর তীরে।
গাড়ীয়াল ভাইর গরুর গাড়ি আজও চলে গাঁয়ে
প্রাণ মোর উদাস হয় ঐ বৃক্ষের শীতল ছায়ে।