
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি
নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী মো. ইয়াস শরীফ খানের (১৬) পরিবারের পক্ষ থেকে আট মাস পর মামলা করা হয়েছে। মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ মোট ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত বছরের ১৮ জুলাই বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। মামলার বাদী, গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর বাবা মো. এজাজ খান অভিযোগ করেন, সেদিন নওফেলসহ অন্যান্য আসামিরা অস্ত্রসহ উপস্থিত হয়ে তার ছেলেকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াস শরীফ গুরুতর আহত হয় এবং তাকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়, যেখানে সে এখনো চিকিৎসাধীন।
গত (১৩ মার্চ) বৃহস্পতিবার, চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন মো. এজাজ খান। মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, এম এ লতিফ ও যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর রয়েছেন। চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন জানিয়েছেন, মামলাটি হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনের আওতায় রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই মামলা চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মামলার তদন্তের অগ্রগতি এবং আসামিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও কৌতূহল রয়েছে।ই