লোহাগাড়ার আধুনগর চাচাতো ভাই লাভলুর কোদালের কোপে শাহআলম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধনের একাংশ।
নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম জেলা আওতাধীন লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ঘাটিয়ার পাড়া গ্রামে গত ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে প্রকাশ্যে দিনদুপরে কোদালের আঘাতে ব্যবসায়ী শাহ আলমকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। হত্যার ৬ দিন পার হলেও পুলিশ এখনো ঘাতক লাবলুকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া স্বরূপ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও এনসিপি লোহাগড়ার প্রধান সমন্বয়ক মো. জহির উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু মুছা মুহাম্মদ খালিদ জামিল, বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমডি জোনাঈদ চৌধুরী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন লোহাগাড়া শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রফিক দিদার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন লোহাগাড়ার সভাপতি অধ্যাপক হামিদুর রহমান, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ নুরুচ্ছফা, আধুনগর সমাজ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সর্দার মাওলানা নুরুল আলম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আধুনগর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, শাহ আলমের ঘাতক লাবলু প্রকাশ্যে, দিনের আলোতে মানুষকে হত্যার মতো জঘন্য কাজ করেছে। এই নৃশংসতা শুধুমাত্র একজন পরিবারকে নয়, পুরো সমাজকে চাঞ্চল্য এবং আতঙ্কের মধ্যে ফেলেছে।
এমন ঘটনা প্রশমিত হলে দেশের সাধারণ মানুষ কোথায় নিরাপদ থাকবে? তাই ঘাতককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
তারা আরও বলেন, শাহ আলম একজন পরিশ্রমী ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবক ছিলেন। তার হত্যাকাণ্ডের বিচার অবিলম্বে নিশ্চিত করা না হলে, জনগণের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ আরও বাড়বে। আমরা দাবি করছি, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সকলকে আইনের আওতায় আনা হোক এবং যারা সহায়তা করেছে তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি এবং জোরদার প্রতিবাদ করা হবে। সমাবেশে বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক লাবলুকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ইউপি সদস্য ফরিদুল আলম, শাহাজাহান চৌধুরী পারভেজ, সাবেক সদস্য ডা. হায়াত মাহমুদ, যুবদল নেতা রেজাউল করিম, এনসিপি লোহাগাড়ার যুগ্ম-সমন্বয়কারী রিদওয়ান আর রায়হান, ছাত্র প্রতিনিধি মির্জা তামিম ও ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজসহ এলাকার অসংখ্য গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসন জানান, আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং অতি দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
