
নিজস্ব প্রতিনিধি : কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ফকিরজুম পাড়া ও আঁধার ঘোনা পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ অস্ত্র তৈরির ভ্রাম্যমাণ কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব।
কারখানা থেকে বিপুল সংখ্যক অস্ত্রসহ কয়েকজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এসময় কয়েকটা অস্ত্রের কারখানা গুড়িয়ে দিয়েছে। এখনও অভিযান চলছে। তবে গহীন পাহাড় হওয়ায় আরও অস্ত্রের কারখানা অক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, পাহাড়ের চারদিকে সাগর বেষ্টিত হওয়ায় একদিকে অভিযান শুরু করলে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রের কারিগররা গহীন পাহাড়ের অন্যপ্রান্তে চলে যায়। তাই সহজে সবাইকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় না। তাই পুরো পাহাড়ে ভোর রাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে অভিযান করলে সন্ত্রাসীদের আটকের পাশাপাশি দ্বীপের অস্ত্রের কারখানা স্বমুলে নির্মূল হবে।
এ কালারমারছড়া বাজারের পূর্বপাশে পাহাড়ের দুর্গম ভ্রাম্যমাণ অস্ত্রের কারখানা অস্ত্রের মেলা নিয়ে পূর্বকোণে শিরোনাম হয়। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে একাধিক বৈঠকও হয়। বিষয়টি নজরে আসলে রুদ্ধদ্বার অভিযানের সিন্ধান্ত নেন র্যাবের। অভিযানে শতাধিক র্যাব-ছাড়াও পুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের একজন কর্মকর্তা জানান, এখনও অভিযান চলছে। অভিযানে বেশ সাফল্য রয়েছে। মূল অভিযান শেষ হওয়ার পর গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে।
জুলাই অভ্যুথানে নিহত শহীদ তানভীর ছিদ্দীকির বড় ভাই মিজানুর রহমান মাতাব্বর অভিযান পরিস্থিতির বিবরণ দিয়ে জানান, আমার ছোট ভাই শহীদ তানভীর ছিদ্দিকী ও চাচা তোফায়েল হত্যার দুর্ধষ আসামিরা গডফাদার তারেক, নোমান, লম্বা তারেক, কালাবদার নেতৃত্বে ফকিরজুম পাড়া পাহাড়, নোনাছড়ি গোদার পাড়া ও আধাঁর ঘোনা দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান নিয়ে সেখানে টংঘর তৈরি করে অস্ত্রের কারখানা গড়ে তুলেছে। সেখানে দীর্ঘদিন পর র্যাবের কক্সবাজার ক্যাম্পের সিইও কামরুল হাসানসহ অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানে অংশ নেওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও বিপুল সংখ্যায় ছিল। মূলত আশপাশের পাহাড়েই এই অভিযান চালানো হচ্ছে। বিস্ফোরণের মতো শব্দও শুনতে পেয়েছেন তারা।
শুরুর দিকে কালারমারছড়া বাজারে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রথমদিকে সকালে র্যাবের একটি ইউনিট এলাকায় আসেন। অভিযান শুরুর পর দু’দফায় র্যাবের আরও দুটি বড় দলকে অভিযানস্থলে আসতে দেখেছেন তারা।
চট্টগ্রামস্থ র্যাব -৭ ও র্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের নেতৃত্বে এই অভিযান চলছে বলে জানা গেছে। এ অভিযানকে ঘিরে দ্বীপজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যতার সৃষ্টি হয়েছে।পূ