
নিজস্ব প্রতিনিধি : লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, দেশকে ভারতীয় দালাল মুক্ত না করলে জুলাই বিপ্লবের সুফল পাওয়া যাবে না। প্রফেসর ইউনূসকে বলব, আপনি সাহসের সাথে আগান। এদেশকে ভারতের দালালমুক্ত করেন। আমাদের বিভিন্ন সার্ভিসের মধ্যে ভারতের দালালরা রয়ে গেছে। যতদিন ভারতের দালালমুক্ত করতে পারবেন না, ততদিন এদেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। এভাবে স্থবিরভাবে আমরা বসে থাকতে পারি না। দেশ ধ্বংসের দিকে যেতে পারে না। আমরা ভারতের দালালমুক্ত বাংলাদেশ চাই, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ চাই। প্রশাসন থেকে দালালদের চিরতরে বের করে দেন আর বাকিদের বলেন- তোমরা আছ, সুন্দরভাবে কাজ কর। তাহলে সব সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। রোববার নগরীর কাজীর দেউড়িতে টাইমস স্কয়ার কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর এলডিপির ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতকে সিল মেরে কেন দেয়া হচ্ছে না- অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ প্রশ্ন রেখেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে অলি আহমদ বলেন, ভারত যখন ভিসা দিচ্ছে না, তখন আমাদের পাসপোর্টের ওপর কেন লিখে দিচ্ছেন না- একসেপ্ট ইন্ডিয়া ? কেউ ইন্ডিয়া যেতে পারবে না, সিল মেরে দেন। চীনের সঙ্গে কথা বলে দেশে দুই-তিনটা বড় বড় হাসপাতাল করেন। চীনে কম টাকায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কেন আমরা ভারতের মুখাপেক্ষী হবো- এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ভারত পেঁয়াজ দেয়নি, চাল দেয়নি- আমরা কি না খেয়ে মরে গেছি। পেঁয়াজও আছে, চালও আছে, তাদের গোলামি করার কিছু নেই। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখেন।
অলি আহমদ বলেন, দেশের অবস্থা যেভাবে ভালো মনে করছেন আপনারা, সেভাবে ভালো না। হাসিনা পালানোর আগে গত ১৬ বছরে পরিকল্পিতভাবে এদেশকে পঙ্গু করে দিয়ে গেছেন। তার পরিকল্পনা ছিল, এদেশকে পঙ্গু করে সরাসরি ভারতের কাছে হস্তান্তর করা। বিডিআর হত্যাকান্ডের সঙ্গে হাসিনা সরাসরি জড়িত। ভারতের সৈন্যরা এ হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণ করেছিল। এবার আমরা প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল, ছাত্ররা যে আন্দোলন করেছে, আপনারা দেখেছেন, ঢাকায় বিশেষ বিমানে করে ভারতের সৈন্যরা পলায়ন করেছে।ই