চাঁদাবাজ মেম্বার ছফুর ড্রাইবারগংদের অত্যাচারে সাংবাদিক গিয়াসসহ এলাকার অনেকে অতিষ্ঠ

পূর্বে প্রকাশিত সংবাদ :
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতকানিয়া উপজেলাধীন সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) ড্রাইবার ছফুরগ্যার দালালি, চাঁদাবাজি, কু-প্রস্তাব হুমকি-দমকিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অত্যাচারে স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠিত হয়ে উঠেছে।

ভূক্তভোগিদের অভিযোগ, ড্রাইবার থেকে মেম্বার হওয়া ছফুরের বিরুদ্ধে দালালি, জায়গা দখল চেষ্টা, চুরি, নারী অপহরণকারী, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি,নারীদের শ্লীলতাহানী, টাকার বিনিময়ে সরকারি হাস স্থানীয়দের চলার জায়গা ১ ব্যক্তিকে প্রদান করে বাড়ি-ওয়াল তৈরি করতে সহযোগিতা করা, অবৈধভাবে মাটি কাটা, ভূক্তভোগি ৫ নারীর সত্তে চাঁদা ও কু-প্রস্তাব না শুনায় বিচার করে জায়গা না দিয়ে উল্টো ঐ নারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুৎসা রটনা করে মানহাণি এবং এলাকার ১জন ভাল সৎ বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ও স্বনামধন্য সাংবাদিক থেকে চাঁদা আদায় চেষ্টা এবং বর্তমান আতংক কিশোরগ্যাং সৃষ্টি করাসহ তার বিরুদ্ধে নানা গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

ভূক্তভোগি নারী-পুরুষ তার দলের অপকর্ম বন্ধে এবং অপকর্ম থেকে রেহায় বা বাঁচতে স্থানীয় থানা, আদালতসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধরণা দিয়ে ব্যবস্থা করলেও স্থানীয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা বা ক্যাশ পর্যন্ত স্পর্শ করার নজির নেই। যার ফলে উক্ত মেম্বার দিন দিন অপকর্ম করলেও বিচারের কথা বলে প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্নখাতে মোড় গোড়ায়, নাম প্রকাশ না করারশর্তে এলাকার অনেক ভাল শিক্ষিত ও নারী-পুরুষ জানান, এলাকার শয়তান ও অযোগ্য ব্যক্তিরা তাকে মেম্বারি দিয়ে সে অপকর্ম করে বাঁচতে টিকেট দিয়েছে ও সে টিকেট পেয়েছে, সে মেম্বার না হওয়ার পূর্বেও তার স্বভাভ ভাল কোনদিকে ছিল? সে মেম্বারি করার কোন যোগ্যতাটা ছিল এবং আছে। সে ছোট থেকে অপরাধে জড়িত হয়ে কারাভোগ করে। কুকুরের লেজ সোজা হয় এমন প্রশ্ন সব সচেতন ব্যক্তির। সে মেম্বার হয়ে এখন এলাকায় মাদকাশক্ত, অবৈধ অস্ত্রধারি লোক,চাঁদাবাজ, প্রতারক, নারী কেলেংকারি, জুয়াটিসহ বিভিন্ন অভদ্র ও বেকার লোকদের সাথে তার চলাফেরা, তার স্বার্থে রাইজিং স্টার ক্লাবের সদস্যদের ব্যবহার করে ডাকাত তৈরি করছে। সূত্রে, সে গাড়ির এজিস্টেন্ট থাকা সময় ধান্দাবাজির লোভে টাকার আসায় ১ মহিলাকে তার গাড়ি করে অপহরণ করেছিল। উক্ত বিষয়ে দীর্ঘ সময় জেলও কাটেন। স্কুল মাদরাসায় তার পা বলতে গেলে ও বাস্তবে একেবারেই পড়ে নাই। শুধু তাই নয়, তার বংশে শিক্ষার কোন ব্যক্তি ছিল না। যার ঘরে গাই গরু নেই, সে দুধ বেচার মত। কিছু ব্যক্তি জানান, বৈধ-অবৈধ এবং যোগ্য-অযোগ্য সব মিলিয়ে খিতামুল্লাহ পাড়ায় লোকজন বা ভোটার বেশি ছিল। উক্ত পাড়ায় যেমন লোক বেশি, তেমন অযোগ্যর সংখ্যাও বেশি। উক্ত অযোগ্যরা এই যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনীত করে এবং এদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রভাবখাটিয়ে তাকে নির্বাচনে বিজয় করে এবং সেও বিজয় হন। এরপর অযোগ্য যখন যোগ্যতার চেয়ার পান, সে পুদে জোনাকি দেখে। সে ধীরে ধীরে অপকর্ম করার রোড ম্যাপ আকতে থাকে এবং লোভে উচু-নিচু একই মনে করে বেশ কিছু জায়গায় হাত দেয়। কিছু অবৈধ কার্যকলাপ থেকে পাওয়া টাকা জোরে সব মুশকিল-বিপদ আছান করে এবং তার বাহিনীর ক্যাডার সদস্যরা থেকে যায় ধরাছোয়ার বাইরে।

(চাঁদার লোভে গিয়াস উদ্দিনের নিকট চোয়ার হলে ধাক্কা খান সে ও তার বাহিনী। পত্রিকার শিরোনামে তাদের অজানা অপকর্ম, লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও বর্তমান অবস্থা বের হয়ে আংশিক প্রকাশ করা হয়)

এদিকে, উক্তগ্যাংকে চাঁদা না দেয়ায় একই এলাকার গিয়াস উদ্দিন নামে ১ সাংবাদিককে তার দলিল ভুক্ত, দখলিয় ভিটা-বাড়ি ও দোকান আত্নসাৎ করার চেষ্টার অভিযোগ উঠে। এদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ায় উক্ত সাংবাদিককে এলাকা থেকে উচ্ছেদ চেষ্টা করা হচ্ছে। সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন বারদোনা এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের ১ জন স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি বিগত দিনে মাসিক সাতকানিয়া-লোহাগাড়া বার্তা, সাপ্তাহিক পূর্ববাংলা রেজি-নং- চ-১৪৭, সাপ্তাহিক আবেদন রেজি : নং- চ-১৯১, জাতীয় সাপ্তাহিক বাংলার স্বপ্ন রেজি: নং- ঢা:জে:প্রশাসক- ২১২, পাক্ষিক মেহেদী রেজি: নং-চ- ৩০৫, দৈনিক মুক্ত কন্ঠ পত্রিকায় নিজস্ব প্রতিনিধি ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে আবেদন, দৈনিক মেহেদী ও জাতীয় দৈনিক একুশের বানী পত্রিকায় প্রতিনিধি এবং অনলাইন-(আমাদের খবর ডট কম) নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক। www.amaderkhabor.com

এলাকায় গিয়াস উদ্দিনের জায়গা-জমি ও মূল্যবান মার্কেট রহিয়াছে। উক্ত জায়গা-জমি ও মার্কেটটি নজরে পড়ে এলাকার ঐ অসাধু চাঁদাবাজদের। তাদের নিকট একেরপর এক হামলার শিকার হন সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন ও তার পরিবার সদস্যরা। হামলাকারীদের প্রতিনিয়ত হুমকি ধমকি ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে অবশেষে ঘর ছাড়া হয়ে প্রাণে বাঁচতে প্রশাসনের দ্বারেদ্বারে ঘুরছে ভুক্তভোগী সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, চাঁদাবাজদেরকে চাঁদা না দেয়ায় সম্প্রতি আমার দোকান গৃহসহ অন্যান্য খতিয়ানভূক্ত জায়গা দখল করার কূমানসে স্থানীয় প্রভাবশালী ছফুর ড্রাইভার (মেম্বার), মো: আলি, নাজিম উদ্দীন ড্রাইবার,
গরু নাছির উদ্দিন, হারুন ড্রাইভার, ইউনুস, জসিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, সোলাইমান ড্রাইভার, আইয়ুব, আরেফা বেগম, চম্পা, রোজিনা আক্তার, তছলিমা, জান্নাতুল ফেরদৌস, শাহাদাত হোসেন রিজভী, মাঈন উদ্দিন, রিয়াজ এবং গোজা গিয়াস উদ্দিনসহ সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু চক্র সদস্যরা আমার কাছ থেকে চাঁদাদাবি করে। এরপর তাদের দাবী অনুযায়ী চাঁদা দিতে না পারায় আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের উপর জুলুম-নির্যাতন ও প্রকাশ্য হামলা চালিয়ে মার্কেট ও নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোর পূর্বক বন্ধ করিয়া দেয়। এসময় আমিসহ আমার পরিবারের ৩জন সদস্যকে রক্তাক্ত গুরুতর আঘাত করেছে এবং আমাদের মার্কেটের দোকানের ভাংচুরসহ মালামাল লুট করে নিয়ে নেয় তারা। দোকান গৃহ এবং বাসাবাড়ির দরজা, জানালা পর্যন্ত লুট করে নিয়ে গেছে ও নিয়ে যাচ্ছে তারা। এছাড়াও আমার মাত্রিক সুত্রে ও খরিদা সম্পত্তির উপর শাহ মজিদিয়া মার্কেটস্থ আমার নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত গিয়াস উদ্দিন মার্কেট নামের মার্কেটের গিয়াস ডিপার্টমেন্টাল নামক আমার একটি কাপড়ের দোকানসহ কমপক্ষে ৬টি দোকান গৃহ ও বাসাঘর গত বছরের ২৪ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সুকৌশলে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। এতে আমার কমপক্ষে ৬০-৭০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি করছে ওই চক্র সদস্যরা।
সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলা ও পবিত্র নিষেধাজ্ঞার আদেশ থাকলেও উক্ত আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তারা হামলা সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে বাদীকে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে চাঁদাবাজির অভিযোগ করে মামলা করেছি। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেছি, ওই মামলায় আসামীদের কয়েকজনকে জেল হাজতে পাঠাইছিল আদালত। কিন্তু জেল হাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিচ্ছে। অপরদিকে, চম্পা নামক আসামীর কাছ থেকে আমি পাওয়ানা টাকা চাওয়াতে আমার ওই পাওয়ানা টাকা পরিশোধ না করার কূমানসে অপরাপর আসামীদের যোগসাজশে আমি ও আমার পরিবারের উপর বেশ কয়েকবার হামলা করেছে। আমার বাড়ির নিরাপত্তার জন্য বসানো ৮টি সিসি ক্যামেরা ভাংচুর ও নিয়ে নেয়। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারধর করে আমাকে রক্তাক্ত জখম করেছিলো, এমনকি আমার বিরুদ্ধে উল্টো ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করে যাচ্ছে। এদিকে ২৫/৩০ জনের ১টি দল গত ৭ আগষ্ট বাড়ি ঘরে হামলা, জিনিসপত্রাদি লুট, চুরি, ক্যাশ টাকাসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়-ক্ষতি ও নিয়ে নেয়। এরপর হত্যার উদ্দেশ্য গিয়াস উদ্দিনকে অপহরণ করে মারধর করে। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় প্রাণে রক্ষা পাই গিয়াস। উক্ত বিষয়ে মাননীয় আদালতে মামলা করলে মাননীয় বিচারক মামলাটি সিআইডিকে তদন্ত দেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিআইডি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনা তদন্ত করেন। বিবাদীগন যেই কোনো সময় আমি ও আমার বা সাক্ষী বা পরিবারের সদস্যদের উপর আবারও হামলাসহ হত্যা করতে পারে। এখন আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীন ভাবে নিজ বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যদিকে মানবেতর জীবন যাপন করতেছি। এখন তারা আমি বাদী ও আমার মামলার সাক্ষীদেরকে সাক্ষী না দেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি-দমকি দিচ্ছে। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের হামলা ও মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে বাঁচতে এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবি করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভোক্তভূগি সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন। (আরো আছে)

মন্তব্য করুন