গাজামুখী এখন মাত্র ৪টি নৌযান, বাকিগুলো আটক : ফ্লোটিলা ট্র্যাকার

অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজাগামী ত্রাণবাহী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অন্তত ৪৪টি নৌযান আটক করে দিয়েছে ইসরায়েল। তবে এখনো ৪টি নৌযান যাত্রাপথে আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ট্র্যাকার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সামারটাইম-জং’ এবং ‘শিরিন’ নামের নৌযান দু’টি আইনি সহায়তার নৌযান।

মিকেনো নামের নৌযান প্রথম ফিলিস্তিনি জলসীমায় প্রবেশ করে। মিকেনো এবং ম্যারিনেট নৌযান এখনো পথে রয়েছে।
যদিও তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদপত্র ইয়েনি সাফাক জানিয়েছিল, গাজা অভিমুখে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌযান মিকেনো ইসরায়েলি বাহিনী আটকের পর নৌযানটিতে থাকা সব মানবাধিকারকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার জন্য তাদের আশদোদ বন্দরে নেওয়া হচ্ছে।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক ব্যক্তিরা বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরের মধ্যে আশদোদ বন্দরে পৌঁছাতে পারেন। তবে তারা একসঙ্গে বন্দরে পৌঁছাবেন না। সবার পৌঁছাতে আরও সময় লাগতে পারে। পুরো দিন লেগে যেতে পারে।

ইসরায়েলি বাহিনী ফ্লোটিলার নৌযানগুলোতে উঠে অধিকারকর্মীদের আটক করে। আটকদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন। তাদের আটকের পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান নিরাপদে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রেটা ও তার বন্ধুরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।

ফ্লোটিলা সংগঠন গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার তথ্যমতে, আগস্টের শেষ দিকে যাত্রা শুরু করা এই বহরে ছিল ৪০টিরও বেশি বেসামরিক নৌযান।

এগুলোতে প্রায় ৫০০ স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন। নৌযানগুলোতে ওষুধ ও খাদ্য বহন করা হচ্ছিল। গাজার ওপর ইসরায়েলের অবরোধের বিরুদ্ধে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আলোচিত প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া এই ফ্লোটিলার কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তুরস্ক, স্পেন ও ইতালিসহ কয়েকটি দেশ নিজেদের নাগরিকদের সহায়তার জন্য নৌযান ও ড্রোন পাঠায়। তবে ইসরায়েল বারবার সতর্ক করেছিল নৌযানগুলোকে ফিরে যেতে।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফ্লোটিলাগুলোতে ইসরায়েলি অভিযানের নিন্দা জানিয়ে একে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করেছে। ইস্তান্বুলের প্রধান প্রসিকিউটরের দপ্তর জানিয়েছে, আটক ২৪ তুর্কি নাগরিকের ঘটনায় তারা তদন্ত শুরু করেছে।বা:প্র।

মন্তব্য করুন