
অনলাইন ডেস্ক: গরমের দিনে তাপমাত্রার অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে শরীর দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময় প্যাথোজেনজনিত বিভিন্ন সংক্রমণ যেমন—ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, প্রোটোজোয়া বা পরজীবী জাতীয় জীবাণুর আক্রমণে ছোট-বড় সবাই নানান অসুস্থতায় ভোগেন। শরীরকে এসব সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে খনিজ উপাদান জিঙ্ক।
জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্ষত সারাতে সহায়তা করে এবং কোষের বৃদ্ধি ও পুনর্গঠনে সহায়তা করে।
গরমের সময় এই খনিজ উপাদানের ঘাটতি হলে শরীর আরও বেশি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তবে আশার কথা হলো—প্রতিদিনের খাবার থেকেই সহজেই জিঙ্কের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কিছু সাধারণ খাবার নিয়মিত খেলে জিঙ্কের ঘাটতি রোধ করা যায় সহজেই।
চলুন জেনে নিই এমন পাঁচটি জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবারের কথা—
১. দই
দইয়ে জিঙ্ক রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।
যদি তা ফলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়, তবে শরীর আরও ভালোভাবে জিঙ্ক শোষণ করতে পারে। গরমে হজমেও সহায়ক দই নিয়মিত রাখুন খাদ্যতালিকায়।
২. কাবলি ছোলা
চিকপি বা কাবলি ছোলাতে রয়েছে প্রচুর জিঙ্ক। কাবলি ছোলার স্যালাড, হুমুস বা চানা মশালা তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে, যা গরমের দিনে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
৩. ডিম
একটি সাধারণ ডিমে প্রায় ০.৬ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে। প্রতিদিন দুইটি ডিম খেলে শরীরের জিঙ্কের চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ হয়ে যায়।
৪. তরমুজের বীজ
গ্রীষ্মের ফল তরমুজ শুধু সুস্বাদু নয়, এর বীজেও আছে জিঙ্কের ভালো পরিমাণ। তরমুজ খাওয়ার পর এর বীজ ফেলে না দিয়ে শুকিয়ে রেখে নাস্তা বা দইয়ের সঙ্গে খেতে পারেন।
৫. কুমড়োর বীজ
কুমড়োর বীজেও রয়েছে প্রচুর জিঙ্ক।
সকালে এক মুঠো কুমড়োর বীজ দইয়ের সঙ্গে বা স্মুদি বোলের সঙ্গে খাওয়ার অভ্যাস করলে তা শরীরের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে।
অতিরিক্ত উৎস হিসেবে ডাল, কাঁকড়া, ঝিনুক (অয়েস্টার) ও কিছু মাছেও রয়েছে জিঙ্ক। তাই সুষম ও বৈচিত্র্যময় খাদ্যাভ্যাস গরমে সুস্থ থাকার অন্যতম চাবিকাঠি।বা:প্র।