কোরবানি: দেশি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি

রাজধানীর হাটগুলোতে বেড়েছে গরু বিক্রি

খবর ডেস্ক : কাল বাদে পরশু ঈদ। শেষ মুহূর্তে পুরোদমে জমে উঠেছে কোরবানির হাট। শহর-গ্রামের হাটগুলোতে দেশি ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। এ ছাড়া স্থানীয় অর্থনীতিতে কোরবানির হাটগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

রংপুর বিভাগের ৮ জেলার অর্থনীতিতে যোগ হবে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর ও সূত্রে-

ঢাকা : রাজধানী ঢাকায় মাঠ কাঁপাচ্ছে ছোট থেকে মাঝারি আকারের পশু। বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর সংখ্যাই বেশি। ক্রেতারাও পছন্দ করছেন ছোট ও মাঝারি আকারের গরু।

রাজধানীর ১ বাজারে কিশোরগঞ্জ থেকে ১২টি গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী মিরাজ হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, মাত্র দুটি গরু বিক্রি করেছি। এখনো ১০টি গরু থেকে গেছে। এগুলো বেশি বড় হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখছি না।
এ বছর স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ঢাকার ২ সিটি করপোরেশন এলাকায় কোরবানির হাট চূড়ান্ত হয়েছে ১৯টি।

এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায় বসেছে ১২টি পশুর হাট, আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় বসেছে ৭টি পশুর হাট।
লালমনিরহাট : জেলার বিভিন্ন হাটে প্রাধান্য পাচ্ছে দেশীয় খামার ও গৃহস্থ বাড়িতে পালিত গরু। উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এ জেলার ৫টি উপজেলায় সাপ্তাহিক পশুর হাটগুলো এখন গবাদিপশু ক্রয়-বিক্রয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ হাটগুলো সাধারণত সাপ্তাহিক ভিত্তিতে হয়ে থাকে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জানা গেছে, সদর উপজেলার দুড়াকুটিহাট, নবাবেরহাট (বিডিআরহাট), সাপটানা (নয়ারহাট), বড়বাড়ীহাট ছাড়াও জেলার অন্যান্য বড় হাটের মধ্যে রয়েছে পাটগ্রামের রসুলগঞ্জহাট, হাতীবান্ধার বড়খাতাহাট ও দইখাওয়া হাট, কালীগঞ্জের কাকিনাহাট ও চাপারহাট এবং আদিতমারীর সাপ্টিবাড়ীহাট।

এসব হাট ইতোমধ্যে জমজমাট হয়ে উঠেছে। হাটগুলো ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা ‘দেশি গরুর চাহিদা বেশি’ বলে জানান।

রংপুর : শেষ সময়ে রংপুরে গরুর হাটগুলোতে বেচাকেনা জমে উঠেছে। ছোট আকারের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবদুল হাই সরকার জানান, এ বছর কোরবানির ঈদে রংপুর বিভাগের অর্থনীতিতে যোগ হবে ১২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে গবাদিপশুতে যোগ হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় ৫ লাখের বেশি গবাদিপশুর সংখ্যা বেড়েছে। কাউনিয়া উপজেলার আফজাল হোসেন তিনটি গরু নিয়ে এসেছেন হাটে। গতকাল দুপুরে তিনি একটি গরু বিক্রি করেছেন ৭৫ হাজার টাকা। অন্য দুটি গরু বড় আকারের। ক্রেতারা দরদাম করে চলে যাচ্ছেন।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে গত ১ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পড়ছে বৃষ্টি। তবে গতকাল সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। ফলে বিক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। হাটে ক্রেতার ভিড় বাড়ছে।

গতকাল সকাল থেকেই হাটগুলোতে চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে ট্রাকে করে পশু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারি ও খামারিরা। সাগরিকা বাজারের গরু ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, গত কয়েক দিন টানা বর্ষণে ক্রেতা অনেক কম ছিল। আজ (গতকাল) থেকে ক্রেতা বাড়ছে।

হবিগঞ্জ : জেলার হাটগুলোতে এবার মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কেনাবেচা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সরেজমিন পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি হাটে খামারিরা বিভিন্ন আকারের গরু নিয়ে আসছেন। এসব গরু ক্রেতাদের নজর কাড়ছে।

শুধু খামারি নয়, গ্রাম-গঞ্জে কিষান-কিষানিদের পালন করা দেশি জাতের অনেক গরুও আসছে হাটে।বা:প্র।

মন্তব্য করুন