
ডেস্ক : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের জন্য বিশেষভাবে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমকে বলা হয় কোচিং। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে শিক্ষকগণ বিশেষ ব্যবস্থায় কোচিং পদ্ধতি চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কোচিং প্রথা শিক্ষাব্যবস্থায় এক মারাত্মক ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত যা কখনো কখনো মরণ ফাঁদ হয়ে শিক্ষার্থী – অভিভাবকদের মাঝে শোচনীয় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। গ্রাম, শহর, নগরব্যাপী চলছে কোচিং বাণিজ্যের রমরমা ব্যবসা। সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে সর্বত্রই চলছে কোচিং সেন্টার নামক টাকা উপার্জনের কারখানাগুলো। শিক্ষকদের প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়ে বলছি, কিছু কিছু শিক্ষক আছেন যারা নিজেদের শ্রেণিকক্ষে যথার্থভাবে পাঠদান না করে তাঁদের কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ওপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেন। শিক্ষার্থীদের গোপনে ডেকে তাঁদের কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাধ্য করেন। একজন শিক্ষক ভালোভাবে পাঠদান করলে শিক্ষার্থীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে সে শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট বা পাঠ গ্রহণে অধিক আগ্রহী হয়। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্ব ও চাহিদা অনুযায়ী যত রকমের সংস্কারমূলক বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। শিক্ষার্থীদের পিতামাতাও ভালো শিক্ষকের কাছে তাঁদের সন্তানদের প্রাইভেট পড়তে দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অভিভাবকরা শিক্ষকদের কোপদৃষ্টি এড়াতে অনেক সময় এসব চাপ সৃষ্টিকারী শিক্ষকদের হাতে সন্তানদের তুলে দিতে বাধ্য হোন।
আসলে কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্বল প্রশাসন, শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে দায়বদ্ধতার অভাব, শিক্ষকতা পেশার প্রতি আত্মনিবেদনে ঘাটতি, শিক্ষকদের বাণিজ্যিকভাবে অর্থ উপার্জন প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেও ব্যাপকভাবে কোচিং বাণিজ্যের বিকাশ ঘটেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে শিক্ষাব্যবস্থার ভিত সুদৃঢ় হলে, শিক্ষকরা মহান পেশায় নিবেদিত থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্রতী থাকলে এবং অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তান সুশিক্ষা লাভের মাধ্যমে সৎ মানুষ হবার ব্যাপারে আরো সচেতন হলে কোচিং বাণিজ্য এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। কিছু কিছু শিক্ষক যদি শুধুমাত্র প্রাইভেট বা কোচিং করার স্বার্থে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে সঠিকভাবে পাঠদান না করেন এবং অভিভাবকগণ যদি কোচিং বাণিজ্যের ঘূর্ণাবর্ত থেকে উঠে আসার পথ না খুঁজেন তাহলে শিক্ষার্থীদের সামনে অশুভ পরিস্থিতির শিকার হওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না। ধরুন একজন গণিতের শিক্ষক ক্লাসে একটি অংক করিয়ে বাকী সব শিক্ষার্থীদের করে নিতে নির্দেশ দেন সেক্ষেত্রে হাতেগোনা দু‘চার জন করতে পারলেও মেধায় অনগ্রসর শিক্ষার্থীরা সমস্যার মুখোমুখি হয়ে শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হয়। এতে মনে হয় শিক্ষা যেন একটা বাণিজ্যিক পণ্য। সেখানে জ্ঞানার্জন বা জ্ঞান দানের চেয়ে টাকা রোজগারের বিষয়টি মূখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো সুকৌশলে এড়িয়ে যান কিংবা দ্রুত পাঠদান সম্পন্ন করেন যা শিক্ষার্থীদের বোধগম্য নয়। বাণিজ্যিক মনোভাবাপন্ন এসব শিক্ষকরা সরাসরি শিক্ষার্থীদের বলেন ‘এগুলো
আরো ভালোভাবে বুঝতে হলে আমার কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে যাও‘। শিক্ষার্থীরাও অভিভাবকদের পীড়াপীড়ি করে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে শিক্ষকের কোচিং খাতায় নাম তালিকাভুক্ত করে বসে। আবার এমনও অভিযোগ ওঠে আসে যে এসব শিক্ষকের কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে, শিক্ষা বানিজ্যের ধ্বজাধারী শিক্ষকরা অনৈতিকভাবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্ন আগাম জানিয়ে দেন। এসব শিক্ষকদের অনৈতিকভাবে প্রশ্নপত্র প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে বলে দেওয়ার পেছনের কারণ হচ্ছে অভিভাবকদের বোঝানো “আপনার সন্তান আমার কাছে পড়ে বেশ ভালোই অগ্রগতি অর্জন করেছে“। এ বিষয়টি টাকা লেনদেন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। চূড়ান্ত পাবলিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে অভিভাবকদের অন্য উপায়ে বোঝানোর পরিকল্পিত ভাষা তাঁদের মাথায় পূর্ব থেকে তৈরী করা থাকে।
অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শোনা যায় যে তাঁদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষার উত্তরপত্রে কম নম্বর দেন, শিক্ষার্থীদের বকাঝকা করেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে মানসিকভাবে দুর্বল করে দেন। শিক্ষক কিংবা অন্য কোনো মহল কর্তৃক ভীতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও জ্ঞানার্জন ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। অনেক সময় ভীতসন্ত্রস্ত এসব শিক্ষার্থীদের সাহস ও মনোবল হারিয়ে ব্যর্থতায় ভুগে পথভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। শিক্ষকতা পেশাকে মনেপ্রাণে আত্মস্ত করে যাঁরা পাঠদানে অনাগ্রহী তাঁরা এ মহান পেশাটিকে কালিমালিপ্ত করে পাঠদানে নিবেদিত না থেকে আদর্শ ও নৈতিকতা বিবর্জিত এসব শিক্ষকগণ অন্য কোনো পেশা গ্রহণ করতে পারেন যেখানে অর্থ উপার্জন করাটা প্রশ্নবিদ্ধ হবেনা।
অর্থ লোলুপতা একজন আদর্শ শিক্ষকের নীতি নৈতিকতার সাথে পুরোপুরি রীতি বিরুদ্ধ ও সাংঘর্ষিক। শিক্ষক হচ্ছেন জাতি গঠনের কারিগর। জ্ঞান দানের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আলোকিত করেন এবং শিক্ষার্থীদের সুপ্ত মনে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের ধারনা দিতে পারেন। শিক্ষকের পাঠদান শুধুমাত্র শ্রেণিকক্ষের গন্ডিতে সীমাববদ্ধ না রেখে শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও ভবিষ্যৎ গঠনে প্রবাহমান থাকা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের জীবনকে সবক্ষেত্রে সুন্দর ও মাধুর্যময় করে তাদেরকে সমাজ ও দেশের সম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে শিক্ষকদের যথার্থ চালিকাশক্তি হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষক হচ্ছেন এমন ব্যক্তি যিনি শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে জ্ঞান বিতরণ করেন, তাদেরকে নৈতিকতা ও মানবিকতা শেখান। পিতামাতা যেমন প্রত্যাশা করেন তাঁর সন্তান শিক্ষালাভের মাধ্যমে সত্যিকারভাবে একজন উপযুক্ত মানুষ হোক, তেমনি যথোপযুক্ত শিক্ষা দানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জীবন আলোকিত করে তাদেরকে আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তোলার কাজে শিক্ষকদের নিবেদিত থাকা প্রয়োজন।
গত শতকের নব্বইয়ের দশকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কোচিং চালু হয় ব্যাপক হারে যা ক্রমে ক্রমেই কোচিং বাণিজ্যের রূপ পরিগ্রহ করেছিল। সময়ের প্রয়োজনে পরিবর্তনের ধারাকে সুসংহত রাখার লক্ষ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ার পরে প্রাইভেট বা কোচিং–এর প্রয়োজন হবে না এমনটা ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু সকল প্রত্যাশা ও পরিকল্পনায় গুড়ে বালি –ফল হয়েছে উল্টো। সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ায় বাণিজ্যিক চিন্তা –চেতনায় প্রলুব্ধ হয়ে প্রাইভেট কোচিং আরো ব্যাপকভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন নৈতিকতা বিবর্জিত অর্থলোভী শিক্ষকদের একাংশ। শিক্ষার্থীদের পড়ার বিষয়ের চাপ বৃদ্ধি পাওয়াতে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যের পরিধিও নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে। এসব কোচিং সেন্টারে কঠিন বিষয় ইংরেজি বাংলার পাশাপাশি সহজ বিষয়গুলোর উপরও কোচিং করতে বাধ্য করা হয়। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্ব ও চাহিদা অনুযায়ী যত রকমের সংস্কারমূলক বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয় প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এক শ্রেণির শিক্ষকদের নগ্ন শিকারে
পরিণত হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। স্কুল কলেজের পবিত্র আঙ্গিনায় মুক্ত পরিবেশে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণ যেখানে আনন্দময় ও শিক্ষনীয় হওয়ার কথা সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরকে কিছু কিছু অর্থলোভী শিক্ষকদের নির্মম শাসনে ছকবাঁধা কক্ষে পাঠগ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। অনেক শিক্ষার্থী চাপের মুখে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় ফেল করলে, বিশেষ করে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হয়। এমনও জানা যায়, অনৈতিকভাবে সহায়তা প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনেকে ফেল করার কারণে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর হার বৃদ্ধির ফলে প্রতিষ্ঠানের অতীতে অর্জিত সুনাম ক্ষুন্ন হয়।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনসহ পরবর্তী জীবনের ধাপগুলোকে স্বচ্ছন্দ্যময় করার লক্ষ্যে অনেক অভিভাবক পাঠ ক্রমিক উন্নয়নের লক্ষ্যে স্ব প্রণোদিত হয়ে তাঁদের সন্তানকে সকালে এক কোচিং সেন্টারে বিকালে আরেক কোচিং সেন্টারে পাঠাতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। এ যেন কোচিং বাণিজ্যের আসরে সন্তানকে শিক্ষিত করে তোলার এক অপ্রতিরোধ্য সহযোগিতা। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের গুনতে হয় মোটা অঙ্কের অর্থ। আবার অনেকক্ষেত্রে প্রাইভেট বা কোচিং সেন্টারে ভর্তি নাহলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষকের রোষানলে পড়তে হয়। সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিশেষ কৌশলে প্রাইভেট মুখী করার নির্লজ্জ প্রক্রিয়ায় লেগে থাকে শিক্ষা বাণিজ্যে জড়িত এক শ্রেণির শিক্ষকরা।
শিক্ষার ক্ষেত্রে নৈতিকতা ও আদর্শ হারিয়ে শিক্ষা বানিজ্যের মন্দ স্রোতে শিক্ষকদের ডুবে থাকার পেছনে কিছু দৃশ্য ও অদৃশ্য কারণ–ও রয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দূরদর্শিতার অভাবে কর্তৃপক্ষ মেধা ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব শিক্ষক সফলভাবে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে ব্যর্থ হয়ে ছলেবলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরে তাঁদের কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে বাধ্য করে। অনেকসময় কিছু অদৃশ্য কারণে দুরাবস্থার সুযোগে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের হাতে কোমলপ্রাণ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। তাঁদের জ্ঞানের পরিধি এতই সীমাবদ্ধ যে তাঁরা শ্রেণিকক্ষে সফল পাঠদানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এতে যুগপৎভাবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি অবর্ণণীয়। ফলতঃ শিক্ষা বাণিজ্যের ধ্বংসাত্মক প্রভাবের মাশুল ভোগ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও জাতিকে।
কোচিং বাণিজ্যকে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক পূর্বে প্রণীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বন্ধ সংক্রান্ত নীতিমালা কার্যকর করা, প্রয়োজনে কঠোর নীতিমালা সংযোজন করে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদেরকে ক্লাস মুখী করার লক্ষ্যে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নতুবা উন্নয়নমুখী প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের ধারায় জাতির সামগ্রিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরকে যুগপৎভাবে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে অনুধাবণ করে সম্মুখবর্তী হতে হবে অন্যথায় কোমলপ্রাণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের পথে হতাশায় ভুগবে। সর্বোপরি শিক্ষক, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টায় শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র কোচিং বাণিজ্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে ক্লাসমুখী শিক্ষায় ব্রতী হতে হবে, নতুবা মেধা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক উন্নয়ন সুদূর পরাহত। অতএব শিক্ষার স্বার্থে শিক্ষকতার স্বার্থে ক্লাস মুখী পাঠদান ও পাঠগ্রহণ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক – শিক্ষার্থী নিবেদিত থেকে শিক্ষাব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে হলে সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং সকলকে আন্তরিক ভাবে এগিয়ে আসতে হবে যাতে কোচিং বাণিজ্য শিক্ষা বিস্তারে মরণ ফাঁদ না হয়।
লেখক : শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, প্রাক্তন অধ্যক্ষ রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজ ও বর্তমানে রেক্টর বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজ, মিরপুর, ঢাকা। আ