কিশোর গ্যাং একটা সুস্থ সমাজ তথা দেশ বির্নিমাণে বড় বাধা

লেখক:_মো:ওসমান হোসেন সাকিব

সুন্দর ও সুস্থ সমাজ নির্মাণে অন্যতম অন্তরায় কিশোর গ্যাং।দিন দিন প্রকাশ্যে বা গোপনে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েই চলছে।এর ছোবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না বতর্মানে কেউও।

বাংলাদেশ একটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দেশ।বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হলে ও বেশিরভাগ মানুষই এখনো মানবেতর জীবন-যাপন করে।শিক্ষা থেকে বিচ্যুত,মা-বাবার কাছ থেকে বিতাড়িত,মাদকাসক্ত,নেশাখোর শিশুরাই এই গ্যাংয়ের সাথে জড়িয়ে পড়ে।বেশিরভাগ কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় নেশার টাকা জোগাড় করতে তারা এমন জগন্য কাজে জড়িয়ে পড়ে।না আছে পারিবারিক শিক্ষা,না আছে বিদ্যার ছোঁয়া এই সদস্যদের।

দলবল নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এলাকার মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে এই গ্যাং।দেশীয় অস্ত্র,ককটেল,দা -ছুড়ি,শিকল ইত্যাদি সরঞ্জাম সবসময় হাতের কাছে থাকে তাদের।এরা এসব জিনিস ব্যবহার করে মারামারি,হানাহানি,খুন-খারাবি,জায়গা দখল,টাকার বিনিময়ে টাকা উদ্ধার সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকে।

এই গ্যাংয়ের যুক্ত সদস্যরা বেশিরভাগই (১২-১৭) বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে।এদের অবস্থান নিয়ে একটু গবেষণা করলে উঠে আসে,পুরো গ্যাংয়ের সদস্যরা মাদকাসক্ত হয়ে থাকে।অনেকের মা-বাবা মারা যাওয়াতে অভিভাবক শূন্যতায় এই কাজে জড়িত হয়।অনেকের বাবা নেই,অথচ মা আছে কিন্তু কঠোর নির্দেশনার অভাবে গ্যাংয়ের যুক্ত হন।

বর্তমানে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এত এত আধুনিক অস্ত্রধারী যে তাদেরকে সমাজ তথা দেশ থেকে প্রতিহত করা জনগণের পক্ষে অসম্ভব।গোয়েন্দা সংস্থার নজরধারী,প্রশাসনের আইনি পদক্ষেপ কিশোর গ্যাং দমনে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে।

লেখক:_কলামিষ্ট ও গবেষক।

মন্তব্য করুন