আমলারা এখন পরবর্তী সরকারের অপেক্ষায় : মাহফুজ আলম

ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, আমলারা এখন পরবর্তী সরকারের অপেক্ষায় আছেন। আর আমি অপেক্ষায় আছি, কখন নেমে যাব। যেকোনো সময়ে নেমে যেতে পারি, তাই পদত্যাগের দাবি করে কোনো লাভ নেই। গতকাল এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্ব-নিয়ন্ত্রণ ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা: রাজনৈতিক ও নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনার অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, মে মাস থেকেই অনেকে আমাদের পদত্যাগের দাবি করছেন। তাই গত দুই মাস ধরে অপেক্ষায় আছি, কখন নেমে যাব। আমি খুব কম সময়ের জন্য দায়িত্ব নিয়েছি। স্বল্প সময়ে যতটুকু করা সম্ভব সেটা করছি। তবে আমাদের বয়স ও অভিজ্ঞতা কম। জনগণ নিশ্চয়ই এজন্য আমাদের ক্ষমা করবে। সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যেকোনো মূল্যে এই আইন বাস্তবায়ন করা হবে। অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বাংলাদেশে গোষ্ঠী স্বার্থের জন্য সবাই কাজ করে। তারা জাতীয় স্বার্থ দেখে না। সেকারণে আমাদের হতাশা তৈরি হয়েছে।

মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশে সবাই গোষ্ঠীস্বার্থের জন্য কাজ করে। জাতীয় স্বার্থ দেখে না। সামগ্রিকভাবে কোন জিনিসটা করলে একটা ভালো আইন পাওয়া যাবে, ভালো একটা নীতি পাওয়া যাবে সে বিষয়ে কেউ আগ্রহী না। আমলারা পরের সরকারের অপেক্ষায় আছেন, এটা হলো ট্রানজিশনাল সরকারের দুর্বলতা।

বর্তমান সরকারের বড় ক্রাইসিস (সংকট) আছে উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের যে প্রত্যাশা ছিল, সে অনুসারে কাজ করা সম্ভব হয়নি। দেশে সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, মিডিয়া ও সুশীল সমাজ এবং ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্যে যে পারস্পরিক সহযোগিতা রয়েছে, তা অটুট রয়েছে। গণমাধ্যম এখনো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে। সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে ফ্যাসিস্টমুক্ত না করে গণমাধ্যমকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তথ্য উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিজিএস প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান।ই

মন্তব্য করুন