অনলাইন ডেস্ক : বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক আজ জুমার খুতবার পূর্ব বয়ানে বলেন, সকল হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকলেই আল্লাহর নেক বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে। হারাম কাজ থেকে বিরত থাকলে একজন বান্দা আবেদ হওয়ার সুযোগ পায়। প্রতিবেশীর সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করলেই মু’মিন হওয়া যাবে। মু’মিন হতে হলে আল্লাহর বান্দাদের হক আদায় করতে হবে।
তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন—‘সে ব্যক্তি মু’মিন নয়, যে তার প্রতিবেশীর খোঁজখবর রাখে না।’ প্রতিবেশীর হক আদায়ের ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে বহুবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যার হাত ও মুখ থেকে অন্যরা নিরাপদ, তারাই প্রকৃত ঈমানদার। ইসলামী আকিদা ঠিক রাখার পাশাপাশি বান্দার হক আদায়েও গুরুত্ব দিতে হবে। নিজের জন্য যা পছন্দ, তা-ই অন্যের জন্য পছন্দ করার মানসিকতা থাকতে হবে।
অন্যদিকে, টঙ্গী পূর্ব আরিচপুর সরকার বাড়ি ঈদগাহ মসজিদুল আকসার খতিব মাওলানা রিয়াদুল ইসলাম মল্লিক আজ জুমার খুতবার পূর্ব বয়ানে বলেন, মুসলমানদের চিরশত্রু অভিশপ্ত ইহুদি জাতি। তাদের স্বভাব হলো সত্য গোপন করা, নবীদের বিরুদ্ধাচরণ, ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ পোষণ, চুক্তি ভঙ্গ, বিশ্বাসঘাতকতা, খেয়ানত, খুন-খারাবি ও দুনিয়ায় ফাসাদ সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, যাকাতের আয়াত নাজিল হলে তারা আল্লাহ সম্পর্কে ব্যঙ্গ করে বলেছিল—“ইন্নাল্লাহা ফকিরুন ওয়া নাহনু আগনিয়া” অর্থাৎ ‘আল্লাহ গরিব আর আমরা ধনী’। আল্লাহ তাআলা এর জবাবে শাস্তির ঘোষণা দেন: “তোমরা জ্বলন্ত আগুনের স্বাদ গ্রহণ কর।” (সূরা আলে ইমরান : ১৮১)।
তিনি আরও বলেন, তারা বলেছিল “ইয়াদুল্লাহি মাগলুলাহ”—“আল্লাহর হাত বাঁধা”। এর দ্বারা বোঝানো হয় কৃপণতা। তারা আল্লাহকে কৃপণতা করার অভিযোগ দেয়, যা চরম বেয়াদবি। আল্লাহ বলেন, বরং তারাই কৃপণ এবং তাদের কথার জন্য তাদের ওপর লানত বর্ষিত হয়েছে। (সূরা মায়িদা : ৬৪)।
মাওলানা রিয়াদুল ইসলাম বলেন, ইহুদিরা আল্লাহর পাঠানো অনেক নবীকে হত্যা করেছে। শরিয়তের কোনো বিধান তাদের পছন্দ না হলে তারা নবীকেই হত্যা করেছে। এটি তাদের পূর্বপুরুষদের স্বভাব ছিল। এ বিষয়ে সূরা নিসা : ১৫৫, সূরা আলে ইমরান : ১১২ ও সূরা বাকারা : ৯১-তে আল্লাহ স্পষ্টভাবে বলেছেন।
তিনি বলেন, ইহুদিরা আজ বাইতুল মাকদিস দখল করে রেখেছে। তারা আল্লাহর চেয়ে মুসলিম উম্মাহকে বেশি ভয় পায়। আল্লাহ বলেন, “তোমাদের (মুসলমানদের) ভয়ই তাদের অন্তরে আল্লাহর চেয়ে বেশি। কারণ, তারা এমন এক সম্প্রদায় যাদের বোধশক্তি নেই।” (সূরা হাশর : ১৩)।
তিনি আরও বলেন, ইসলামের প্রতি তাদের বিদ্বেষের অন্যতম কারণ হলো—শেষ নবী (সা.) তাদের বংশে না আসা। আল্লাহ বলেন, “এরা সেই জাতি যাদের ওপর আল্লাহর লানত রয়েছে। আল্লাহ যাকে লানত করেন, তুমি তার কোনো সাহায্যকারী পাবে না।” (সূরা নিসা : ৫২)।
তিনি বলেন, হাদীসে এসেছে, “তারা গাছ বা পাথরের আড়ালে আত্মগোপন করবে, আর গাছ ও পাথর আওয়াজ দিয়ে বলবে, হে মুসলমান, আমার আড়ালে ইহুদি লুকিয়ে আছে, তাকে হত্যা কর।
খতিব বলেন, কোরআনে ইহুদিদের বিষয়ে এত আলোচনা করা হয়েছে যেন মুসলমানরা তাদের ধোঁকা ও ষড়যন্ত্র থেকে সতর্ক থাকতে পারে। আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করুন। আমিন।ই
