কোরবানির পশুর কোন অংশ খাওয়া হারাম?

অনলাইন ডেস্ক : ঈদুল আজহা মুসলমানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব, যেখানে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করা হয়। কোরবানি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় আচার নয়, বরং ত্যাগ, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার অনন্য প্রতিচ্ছবি।

ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, কোরবানির পশুর মাংস তিন ভাগ করে। নিজের জন্য, আত্মীয়-স্বজনের জন্য এবং দরিদ্রদের জন্য বিতরণ করার নির্দেশনা রয়েছে।

তবে কোরবানির পশু হালাল হলেও এর কিছু নির্দিষ্ট অংশ রয়েছে, যেগুলো খাওয়া মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ এবং হারাম। ইসলামি বিধান অনুযায়ী, পশুর ৭টি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খাওয়া হারাম গণ্য হয়। এই অংশগুলো হলো:

রক্ত : রক্ত সরাসরি পান করা বা রান্না করে খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম। কোরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে রক্ত” (সূরা আল-বাকারা ১৭৩)। যদিও কিছু পরিমাণ রক্ত মাংসে লেগে থাকতে পারে, তা মাফযোগ্য।

পিত্তথলি: এটি অত্যন্ত তিক্ত ও অপবিত্র। খাওয়া নিষেধ এবং এটি রান্না করা থেকেও বিরত থাকা উচিত।

মূত্রথলি ও মূত্রনালী : পশুর মূত্রথলি বা প্রস্রাবের অংশ খাওয়া ইসলামি বিধানে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

লিঙ্গ ও অণ্ডকোষ : এদেরকে গোপনাঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং শরিয়তে এগুলোর ব্যবহার সম্পূর্ণ হারাম।

গলাফুলা গ্রন্থি : শরীরের বিভিন্ন স্থানে থাকা এই গ্রন্থিগুলো রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ, তবে খাওয়ার জন্য তা উপযুক্ত নয়।

মেরুদণ্ডের ভেজা অংশ: এটি সাধারণত খাওয়ার উপযোগী নয় এবং অনেক আলেম তা খেতে নিষেধ করেছেন।

সচেতনতা ও ধর্মীয় দায়িত্ব:
প্রতি বছর কোরবানির সময়ে দেখা যায়, অনেকেই অজ্ঞতাবশত এসব হারাম অংশ রান্না করে বা খেয়ে ফেলেন। তাই ইসলামি জ্ঞান ও সচেতনতার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। কোরবানির আগে বা পরে স্থানীয় কোনো আলেম বা ইসলামিক স্কলার থেকে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। শুধু পশু জবাই নয়, শরিয়াহ মোতাবেক প্রতিটি ধাপ পালন করলেই কোরবানির মূল শিক্ষা, অর্থাৎ ত্যাগ ও আনুগত্য, পূর্ণতা পায়।ই

মন্তব্য করুন