
ভারতীয় গরুর উপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে, জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে ৭০ হাজার
অনলাইন ডেস্ক : ভারতীয় গরুর উপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে সীমান্ত জেলা ঝিনাইদহে কোরবানীর পশুর এক সমৃদ্ধ জনপদ গড়ে উঠেছে। জেলার ৬ উপজেলায় সাড়ে ১৮ হাজার খামারে এবছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি গবাদিপশু। ফলে কোরবানিতে এ বছর জেলায় কোনো পশু সঙ্কট নেই। বরং চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে প্রায় ৭০ হাজার পশু। গত বছরের ন্যায় এবারো খামারীরা ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছেন।
ঝিনাইদহ জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা দফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় দুই লাখ ৬৩ হাজার ১২৯টি পশু কোরবানির জন্য তৈরী করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ৭৬ হাজার ৬১টি ষাঁড়, ৯ হাজার ৮৫৬টি বলদ, ৯ হাজার ৫৫৮টি গাভী, ২ হাজার ২৪৬টি মহিষ, এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৩টি ছাগল ও ১০ হাজার ৪৫টি ভেড়া রয়েছে। এছাড়া কোরবানির পরও সারা জেলায় ৬৯ হাজার ৭৫৩ টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। জেলার ১৮ হাজার ৪৫৩ জন খামারী কোরবানির এই পশু প্রতিপালনে ভূমিকা পালন করেছেন।
জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এএসএম আতিকুজ্জামান জানান, নিরাপদ গবাদিপশুর গোস্ত উৎপাদনে বরাবরই ঝিনাইদহ এগিয়ে আছে। এই জেলার ১৮ হাজারেরও বেশি খামারীকে প্রতিনিয়ত পরামর্শ ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ফলে তারা এ বছর চাহিদার থেকেও বেশি পশু পালন করেছে। তিনি আরো জানান, ঝিনাইদহে জেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৯৩ হাজার ৩৭৬টি। কিন্তু জেলার পরিশ্রমী খামারীরা দুই লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি পশু প্রস্তুত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। খামারীরা তাদের প্রতিপালিত প্রায় ৯০ ভাগ পশু ঢাকার বাজার ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাদপুকুর গ্রামের নারী খামারী আম্বিয়া খাতুন লাকি জানান, তার খামারে ৩০টি ষাঁড় কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা।
জানা যায়, আগে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাটিলা, যাদবপুর ও বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশ করতো। যে কারণে লোকসান ও পূঁজি হারানোর ভয়ে ঝিনাইদহে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বড় কোনো খামারী গড়ে উঠতো না। এখন জেলার বিভিন্ন গ্রামে গরু, ছাগল ও ভেড়ার খামার গড়ে তুলেছে।ই