
অনলাইন ডেস্ক : নতুন ভিসা আবেদন না নিয়ে কেবল আগে জমা নেওয়া পাসপোর্ট ভিসাপ্রত্যাশীকে ফেরত দিতে সীমিত পরিসরে চালু রাখা হয়েছে ভারতীয় ভিসা সেন্টার। এর ফলে নানা প্রয়োজনে ভারত যেতে ভিসা পাচ্ছেন না বাংলাদেশিরা। এ অবস্থায় সোমবার ভিসার দাবিতে ঢাকা ও সাতক্ষীরায় ভারতীয় ভিসা আবেদন সেন্টারে বিক্ষোভ করেছেন ভিসাপ্রত্যাশীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিসা সেন্টারে নিরাপত্তা বাড়ানোর অনুরোধ করেছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন।
ঢাকায় ভারতের ভিসা কেন্দ্রে আকস্মিক বিক্ষোভের জেরে এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন। ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। আমরা মৌখিকভাবে নোট পাঠিয়েছি। আমাদের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। আমাদের জন্য এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়া উচিত নয়।› আজকের ঘটনায় তারা কোনোভাবে আস্থাশীল নয় উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, তারা মূলত জনগণের অনুরোধে পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি হঠাৎ করে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং লোকজনকে ‹হুমকি দেওয়া হয় এবং আতঙ্কিত। পর্যটক, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন শ্রেণিতে প্রতিবছর প্রায় ২৫ লাখ বাংলাদেশি ভারতে ভ্রমণ করেন। জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর পর ভিসা কার্যক্রম সীমিত করা হলেও অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ৪ আগস্ট থেকে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভিসা সেন্টারগুলো সীমিত আকারে চালু হলেও নতুন আবেদন নেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশে সব দেশের দূতাবাস না থাকায় বিভিন্ন দেশের ভিসা ভারতে থাকা সেসব দেশের দূতাবাস থেকে সংগ্রহ করতে হয় বাংলাদেশিদের। আর এ ধরনের ভিসা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সংগ্রহ করে। ভারতের ভিসার আবেদন করতে না পারায় ঝুঁকিতে পড়ছে তাদের শিক্ষাজীবন।
ভারতীয় ভিসার দাবিতে হঠাৎ করেই ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (আইভিএসি) বিক্ষোভ করেছেন ভিসাপ্রত্যাশীরা। ভারতীয় হাইকমিশনের ওই কর্মকর্তা জানান, তারা তাদের আবেদনপত্র ঠিক রেখে সব পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছেন, যাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলে আবেদনকারীরা আবার তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে পারেন। জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু অনেকে পাসপোর্ট ফেরত চাইছেন, তাই তাদের আবেদন বাতিল না করেই আমরা পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছি।ই