
সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে হাটহাজারীর আজিজিয়া মজিদিয়া সড়কে তৈরি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ, হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি : ‘সড়কের বেহাল অবস্থার কথা কী আর বলব। খানাখন্দে ভরা সড়কে চলতে গেলে গাড়ির আয়ু অর্ধেক কমে যায়। পেটের দায়ে গাড়ি চালাতে হয়; যা আয় করি তার বড় অংশ গাড়ি মেরামতেই চলে যায়।’ হাটহাজারী উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজিয়া মজিদিয়া সড়ক সম্পর্কে এই মন্তব করেছেন সিএনজি অটোরিকশা চালক সমবায় সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ আবদুল মালেক সুমন। যাত্রীরা জানান, সড়কের বেশির ভাগ অংশ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আজিজিয়া মজিদিয়া সড়কের বেহাল দশার কারণে জনদুর্ভোগ চরমে। সড়কে বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মেখল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘সড়কটির দুরবস্থার কথা সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে জানানো হয়েছে। পৌর সদর বাসস্ট্যান্ড থেকে সড়কটি রমেশ মহাজন সড়ক ধরে সুবেদার পুকুর পাড় হয়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি আঞ্চলিক মহাসড়কে মিলিত হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে গড়দুয়ারা মাদার্শা ধরে ফতেয়াবাদ হয়ে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়ক এবং মাদার্শা মাদারীপুল ধরে নজুমিয়াহাট হয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যাওয়া যায়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সড়কটির বেশির ভাগ অংশে নালা নেই। ফলে বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমে যায়, সৃষ্টি হয় গর্ত। বিশেষ করে পশ্চিম মেখল ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তালুকদার বাড়ি অংশে নালা নেই। এতে সামান্য বৃষ্টি হলে ফকিরহাট বাজারের পূর্ব পাশে তালুকদার বাড়ি, সৈয়দ বাড়ি ও বড়পীর পাড়া অংশে পানি জমে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু নাঈম বলেন, ‘যখন সড়কের সংস্কার কাজ হয় তখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মানসম্মত উপাদান ব্যবহার করেন না। ফলে খুব দ্রুত সড়ক নষ্ট হয়ে যায়। চালক আবদুল মান্নান মিন্টু বলেন, ‘সড়কটির কিছু অংশ এমন খানাখন্দে ভরা যে, কোনো প্রসূতিকে এই সড়ক দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় না।
ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দীন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সড়কটি সংস্কার করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। হাটহাজারী উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে জানান, সড়ক সংস্কারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, ‘সড়কের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।স