
আটক হওয়া প্রেমিক। ছবি : সংগৃহীত
খবর ডেস্ক :
প্রেমিকার জন্য কত কি না করে প্রেমিক। তাকে পাওয়ার জন্য অগ্নি-পরীক্ষা দিতেও পিছু পা হন না প্রেমিকরা। তবে এবার সামনে এসেছে আরেক ঘটনা। প্রেমিকার জন্য রূপ বদলেছেন প্রেমিক।
প্রেমিকার পরীক্ষায় পাস করানোর জন্য মেয়ে সেজেছেন প্রেমিক। এজন্য বেশভুসা থেকে শুরু করে সবই বদলে ফেলেছেন তরুণ। পরনে চুড়ি, কপালে টিপ, ঠোঁটে লিপিস্টিক বা হাতে চুড়ির কিছুই কমতি রাখেননি তিনি। যেন দেখে চেনার উপায় নেই আসলে পুরুষ না কি নারী।
এতসব চেষ্টার পরও সফল হতে পারেননি ওই তরুণ। পরীক্ষার হলে গিয়ে কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। এরপর বিষয়টি রীতিমতো হাস্যরসে পরিণত হয়েছে। আর অবিশ্বাস্য এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পাঞ্জোবের ফরিদকোট এলাকায়। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফরিদকোটের একটি পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রেমিকার ছদ্মবেশে পরীক্ষা দিতে গিয়েছেন এক প্রেমিক। এরপর সেখানে তিনি ধরা পড়েন কর্মকর্তাদের হাতে। আটক ওই প্রেমিকের নাম আংরেজ শিং। আর তার প্রেমিকার নাম পরমজিৎ কৌর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেমিকাকে পরীক্ষায় পাস করানোর জন্য লাল চুড়ি, টিপ, লিপিস্টিক আর মেয়েদের পোশাক পরে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে অংরেজ। এমনকি এজন্য আগে থেকে আইডি কার্ডসহ সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলেন তিনি।
এতসব করার পরও বাধে বিপত্তি। পরীক্ষার আগে বায়েমেট্রিক ছাপ দিতে গিয়ে আটকে যান তিনি। সেখানে ছাপ মেলেনি তার। আর তাতেই ধরা পড়ে যান। পরে মিথ্যা পরিচয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে পাঞ্জাব পুলিশ তাকে আটক করে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত ৭ জানুয়ারি পাঞ্জাবের ফরিদকোট জেলায় স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় এমন কাণ্ড ঘটেছে। পরীক্ষার আগে প্রেমিকার নামে নারী বেশে ছবি তুলে পরিচয়পত্র তৈরি করেন তিনি। এরপর ভালো নম্বর নিয়ে পাস করানোর জন্য নিজেই যান পরীক্ষা দিতে। কিন্তু আঙুলের ছাপ না মেলায় তিনি ধরা পড়ে যান। এ সময় তার ফরমও বাতিল করে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।