জায়গা আত্নসাতে চাঁদাবাজি চেষ্টা, প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিনকে অপহরণ : তদন্তে সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
এলাকার জুর-জুলুমবাজ, দালাল, প্রতারক, ভূমিদস্যু, ইয়াবা ব্যবসায়ি, চাদাবাজ আবদু ছফুর ড্রাইবার, নাজিম ড্রাইবার ও তার স্ত্রী ভাবি রোজিনা, মাহমুদা মো: আলি, গরু বলদকার ও সুদি নাছির, আরেফা ও চম্পাগংদের বিরুদ্ধে জায়গা আত্নসাতের চেষ্টা চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ উঠে। সূত্রে দীর্ঘদিন থেকে তারা এলাকায় মদ, জুয়া, নারী কেলেংকারি, মাদক সেবন-বিক্রি, মাটিখেকো ও পক্ষপাতিত্ব বিচার ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম করে আসছিল। এ অবৈধ কার্যকলাপ করে আসলেও তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ টু শব্দ করতে পারেনি, যার ফলে তারা ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যায়। তাদের দলের সদস্যরা কেউ সমাজ প্রতিনিধি,কেউ রাজনীতির, কেউ ক্লাব-সমিতি আবার কেউ জন প্রতিনিধির পরিচয়ে এ অপকর্ম করে আসে। ভূক্তভোগি কেউ কেউ শালিশ দরবার বা অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে কোথাও দিলেও তা চলে যায় ডাসবিনে। বিগত কিছুদিন আগে চাঁদাবাজরা সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন থেকে চাঁদাদাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় তারা গিয়াস উদ্দিনের জায়গা আত্নসাৎ চেষ্টা করে। গিয়াস উদ্দিনের ভোগ দখলিয় এবং দলিল ও খতিয়ান ভূক্ত জায়গায় স্থিত মার্কেটে জোরপূর্বক তালা লাগিয়ে দেয় এবং হামলা করে চাঁদাবাজরা। আদালতে মামলা ও নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা চাঁদা না পেয়ে এ অপকর্ম করে। গিয়াস উদ্দিন সাতকানিয়া উপজেলাধীন বারদোনা এলাকার ৮নং ওয়ার্ড খিতামুল্লাহ পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। উক্ত দালাল, চাঁদাবাজরাও একেই এলাকার লোক। গিয়াস উদ্দিন তাদের বারংবার অপকর্মের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়ে মামলা করে। উক্ত মামলায় কয়েক ব্যক্তি গ্রেফতারও হয়, এরপরও গিয়াস উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্য গত ৭ আগস্ট ২০২৩ইং বাড়ি-ঘরে লুট-পাট, হামলা, চুরি, জিনিসপত্রাদি লুট করে নিয়ে নেয়। একেই দিন গিয়াস আহতদের চিকিৎসা ও থানায় যাওয়ার পথ থেকে জোরপূর্বক ধরে হত্যার উদ্দেশ্য তাকে সিএনজি গাড়ি যোগে অপহরণ করে। থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাদের সহযোগিতায় গিয়াস প্রাণে রক্ষা পায়। এব্যাপারে গিয়াস বাদী হয়ে মামলা করলে মাননীয় বিচারক সিআইডিকে তদন্তে দেন। এদিকে উক্ত মামলার বিবাদী ও চাঁদাবাজগণ বাদী ও সাক্ষীদেরকে প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশের হুমকি-দমকি দিচ্ছে। ভয়ে বাদী ও সাক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করতেছে। বাদীর দাবি সঠিক ঘটনা তদন্ত করে উক্ত সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করার। বর্তমানে মামলার বিবাদীদের জুলুম-নির্যাতন,হুমকি-দমকি ও মিথ্যা মামলায় বাড়ি-ঘর ও এলাকায় থাকতে পারছেনা বাদী গিয়াস ও তার পরিবার পরিজনেরা।

এব্যাপারে মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সত্যকিনা,তাহার বিরুদ্ধে কয়টি মামলা আছে, সে বিগতদিনে কোন মামলায় কারাভোগ করেছিল? বর্তমান তার বিরুদ্ধে কয়টি মামলা আছে? বিস্তারিত জানার জন্য বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।

অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন চৌধুরী থেকে জানার জন্য তাহার মোবাইলে যোগাযোগ চেষ্টা করলে সংযোগ না পাওয়ায় তাহার বক্তব্য নেওয়াও সম্ভব হয় নায়।
উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে থানা প্রশাসনের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করারস্বার্থে জানান, অভিযোগসূত্রে আমি উক্ত ঘটনায় তদন্তে গিয়েছিলাম, স্থানীয় সূত্রে, তারা জোরপূর্বক গিয়াস উদ্দিনকে ধরে তুলে নিয়ে অপহরণ করে মারধর করে এবং বাড়ির সকল জিনিসপত্রাদি ভাংচুর, লুট ও চুরি করে নিয়ে নেয়, গিয়াস আদালতে মামলা করলে, আদালত মামলাটি সিআইডিকে তদন্তে দেন, বর্তমানে উক্ত মামলা সিআইডির নিকট তদন্তাধীন।

মন্তব্য করুন