বেপরোয়া কিশোরগ্যাং, দালাল ও চাঁদাবাজরা : ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা ভূক্তভোগীরা।

বেপরোয়া কিশোরগ্যাং, দালাল ও চাঁদাবাজরা : ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা ভূক্তভোগীরা।

এলাকা ভিত্তিক জবরদখল মূলক জায়গা দখল দারিত্বের প্রতিযোগিতা, কোন ঘটনা বা শালিশ বিচারে পক্ষ-পাতিত্ব, প্রতি এলাকায় চুরি-ডাকাতি, মোটর সাইকেল মহড়া, রাস্তা বা ঘরেও মেয়েদের উত্ত্যাক্ত করা, কু-প্রস্তাব দেয়া, তাদের কথায় সারা না দেয়া বা প্রত্যাখ্যান করলে হুমকি-দমকি, অপপ্রচার করে মাণক্ষুন্ন করা, নেশা সেবক ও নেশা ব্যাবসায়ি, চাঁদাবাজী, ছিনতাই ও অপহরণ, সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে কিশোরগ্যাং ও প্রতিটি এলাকার কিছু লোক।
দীর্ঘদিন থেকে সারা দেশের কোননা কোন ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় কিশোরগ্যাং ও অপরাধীদের অপরাধ প্রবনতা বেড়েই চলছে। দিন দিন তারা জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। কিশোরগ্যাং এতটাই বেপরোয়া যে তাদের এ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সাধারন মানুষ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছনা। কেউ তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে হতে হয় লাঞ্চিত-বঞ্চিত ও মিথ্যা মামলাসহ হামলার শিকার। আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট কিশোরগ্যাংদের তালিকা না থাকায় তারা বিভিন্ন অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। অনেক সচেতন নাগরিকরা জানান, কিশোরগ্যাং সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য খুবই ভয়ংকর ও অশনি সংকেত। তারা অপরাধ পেয়ে পার পেয়ে যাওয়ায়, তারা হারিয়ে ফেলছে সম্ভাবনাময় উজ্জল ভবিষ্যৎ এবং পারিবারিক বন্ধনের শিখিলতা, পারিবারিক অনুশাসনহীনতা, ইন্টারনেটের অপব্যাবহার, বিদেশী সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্টতা ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারনে এ অপরাধ বাড়ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, অনেকে অভিযোগ করে বলেন আজ পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধি কোন অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আইনগত ব্যবস্থা করার দৃশ্য চোখে পড়ে নাই, বরং কিছু জনপ্রতিনিধিও তাদের সাথে বা অপকর্মের মূল হোতা হিসেবে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। যারফলে তারা আইন কানুন কিছুই ভয় করে না।

সচেতন মহল প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য বলেন, প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধিরা দলমত নির্বিশেষে কিশোরগ্যাং এর সদস্য, দালাল ও অপরাধীদের তালিকা করে আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট জমা দিয়ে সহযোগিতা করা, আর আইনশৃংখলা বাহিনীর উচিৎ কিশোরগ্যাং ও অপরাধীদের প্রতি কঠোর আইন প্রয়োগ করা।

মন্তব্য করুন