
ডেস্ক : খুটাখালীতে কোরবানের গরুর মাংস কম দেওয়া ও মাংস ফেলে দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পুলিশ সদস্য ও তাহার পিতার উপর এ হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠে। আহতরা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় জিয়াবুল হক ও তাহার স্ত্রী হামিদা বেগম খারাপ প্রকৃতির লোক হয়।
গত ০৭ জুন ঈদের দিন খুটাখালী দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা হাজী রমজান আলি ও তাহার বড় ছেলে সেলিম রেজা কোরবান করেন। উক্ত কোরবানের মাংস সামাজিক হিসাব অনুযায়ি জিয়াবুল হককে প্রদান করে। অপরদিকে, উক্ত কোরবানের মাংস কম দিছে ও তাহার মাংস ফেলে দিছে বলে মিথ্যা অভিযোগ তুলে জিয়াবুল। এদিকে, কোরবানের ২ দিন পর ০৯ জুন, সকাল ১১:৩০ ঘটিকার সময় রমজান আলির বাড়ির জানালার পাশে দাড়িয়ে জিয়াবুল হক ও তাহার স্ত্রী হামিদা বেগম অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে গালিগালাজে অতিষ্ট হয়ে সন্ত্রাসী জিয়াবুল হক ও তাহার স্ত্রী হামিদা বেগমকে গালিগালাজ না করার জন্য নিষেধ করেন রমজান আলি।
কোরবানের মাংস নিয়ে কোন সমস্যা থাকলে সমাজের প্রধানকে বলার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু জিয়াবুল হক ও তাহার স্ত্রী কোন কথা না শুনিয়া মারধর করার পরিকল্পনা করে। এক পর্যায়ে তাহার আপন বড় ভাই রমজান আলিকে টেনে হিচড়ে তাহাদের সিমানায় নিয়ে যাওয়ার সময় পিতাকে উদ্ধার করার জন্য রমজান আলীর ছোট ছেলে কামরুল ইসলাম সোহেল (পুলিশ সদস্য) এগিয়ে আসে এবং ঝগড়া না করার জন্য বারন করে।
কিন্তু কোন বাধা না শুনে জিয়াবুল হক ও তাহার স্ত্রী রমজান আলীকে মারতে না পেরে ছেলে পুলিশ সদস্য কামরুল ইসলাম সোহেলকে দেশীয় অস্ত্র হন্দা ও হাতুড়ি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে হাতের বৃদ্ধা আঙুল, ডান হাতের বাহু পেঠের
নাভির পাশে ও বাম হাতের কব্জিতে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। উক্ত সময় পুর্ব পরিকল্পনামতে জিয়াবুলের মেয়কে দিয়ে ভিডিও ধারন করে। আহত কামরুল জানান, উল্টো মূল হামলাকারি জিয়াবুল বিভিন্ন মিথ্যা বলে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভিডিও ছেড়ে মানহানি ও মামলা করবে এবং পুলিশ সদস্যর চাকরি খেয়ে পেলবেসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন কৌশলে টাকাও দাবি করছে বলে জানান আহত রমজান আলী।
উক্ত বিষয় নিয়ে আহত রমজান আলী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে বলে জানান আহত কামরুল ইসলাম। তবে তদন্তকারি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব না হওয়ায় তাহার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয় নাই।
অপরদিকে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব না হওয়ায় তাদের বক্তব্যও দেয়া সম্ভব হয় নাই।
বর্তমানে সন্ত্রাসী জিয়াবুল হকের প্রতি নিয়ত হুমকি-দমকিতে আহত ও বাদীর পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। এদিকে আহত ও অভিযোগকারি উক্ত ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার জন্য তদন্তকারি কর্মকর্তার নিকট দাবি জানান।