
চাঁদা না দেয়ায় জুলুম নির্যাতনে সাতকানিয়ার
সাংবাদিক গিয়াস, বাড়ি ও এলাকা ছাড়া।
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতকানিয়ায় মামলার আসামিরা জামিন নিয়ে বাদীর বসত ঘরে লুটপাঠ, হামলা, চুরি বিভিন্ন অপকর্মসহ এমনকি অপহরণ করার অভিযোগ উঠে। সূত্রে জানাযায়, গত জানুয়ারী ২০২২ইং থেকে এলাকার কিছু ভূমিদস্য, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা বারদোনা গ্রামের শাহ মজিদিয়া মার্কেটের মালিক সদস্য ও সাংবাদিক মো: গিয়াস উদ্দিন থেকে চাঁদাদাবি করিয়া আসে।
গিয়াস উদ্দিন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পরবর্তীতে কৌশল করে আরেফা বেগম জায়গা পাবে বলে অভিযোগ তুলে। আরফা বেগম হচ্ছেন একই এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের বড় কন্যা। সত্ত বা জায়গার মালিক না, আরেফা বেগম যে সত্তর দাবি তুলে, সে জায়গাগুলি ১৯৮৩ ইং তার স্বামী মো: আইয়ুব সব বিক্রি করে ফেলছে। এরপরও জায়গার অভিযোগ তুললে, গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে আরেফাসহ ৫ জনকে বিবাদী করে সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে একটি নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করেন। তাং- ১৩/২/২২ইং, যার নং- ৪১/২০২২ইং।
উক্ত মামলা দায়ের করায় সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড প্রতিনিধি চাঁদাবাজ (মেম্বার) ড্রাইবার আব্দু ছফুরগং জায়গা দখলের উদ্দেশ্য বিচারের নামে ও জায়গা দখল করার হুমকি দিয়ে বাদী থেকে চাঁদাদাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে একপর্যায়ে বাদী গিয়াস উদ্দিনের মার্কেটের ভিতর ডুকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে এবং বাদীকে মারধর করে, যা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে ও আছে। এরপর বাদী গিয়াস উদ্দিন মাননীয় আদালতকে বিষয়টি জানালে গত ০৭/০৪/২০২২ ইং ঐ মেম্বারকে একটি লিগ্যাল নোটিশ দেন এবং উক্ত বিষয় নিয়ে কোন আপোষ-মিমাংশা না করার জন্য বারন করেন।
উক্ত উকিল নোটিশ পেয়ে সে আরো ক্ষিপ্ত ও বেপরোয়া হয়ে গত ২৪ জুন ২০২২ইং তার দলবল নিয়ে গিয়াস উদ্দিনের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেটের ভাড়াটিয়াদের দোকান থেকে বের করে দোকান ও মার্কেট বন্ধ করিয়া তালা বদ্ধ করিয়া দেন এবং বসত ঘরেও হামলা করে। ৯৯৯ গিয়াস উদ্দিন কল দিলে সাতকানিয়া থানার এস আই সালামত উল্লাহ ঘটনাস্থলে আসে এবং দেখে চলে যায়। এরপর বিষয়টি নিয়ে বাদী গিয়াস উদ্দিন সাতকানিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ এস আই রাজু আহমেদ থানায় উভয়কে নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করে। উক্ত বৈঠকে বিবাদীগণ কোন ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র দেখাতে না পেরে অপরাধী চিহ্নিত হবার সময় মেম্বার ছফুর মাননীয় উপজেলা চেয়ারম্যানের আশ্রয় নিয়ে ঘটনাটি তাকে জানালে সে তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হান্নান সাহেবকে মোবাইলে সে বিষয়টি দেখবে বলে সময় নেন। এরপর মাননীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় বাদী-বিবাদী উভয় থেকে ৩০০টাকার ষ্ট্যাম্প নিয়ে বেশ কয়েক দফা বৈঠকে বসা ও বিবাদীদেরকে লম্বা সময় দেন। এর মধ্যে বিবাদীগণ দখল উচ্ছেদ দেখাতে ও করতে কৌশল করে গিয়াস উদ্দিনের মার্কেট আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। উক্ত সময়ের পর মাননীয় চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব সিআইপি সাহেবও গিয়াসের সব ডকুমেন্ট পত্র দেখে গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে রায় দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সাতকানিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: সালা উদ্দিন চৌধুরী, সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: সেলিম উদ্দিন চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি একে এম আসাদ, সাতকানিয়া পৌরসভা সেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমন, সাতকানিয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নাসিমুল করিম সিকদার, শাহ মজিদিয়া মার্কেটের সওদাগর ফেরদৌস আলম, আব্দুল মোনাফ, আবুল হোসেন বাবুল ও মোস্তাক আহমদসহ অন্যান্য নেতা নতৃবিন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এসময় চেয়ারম্যান মহোদয় বলেন, বাদী আরেফা বেগমকে দীর্ঘদিন সময় দেয়ার পরও সে কোন কাগজপত্র-ডকুমেন্ট আনতে পারে নাই এবং গিয়াস উদ্দিনের কাগজপত্র যা দেখাইছে সেগুলো সঠিক। আর আরেফা যা সত্ত দাবি করেছে সেগুলো তার স্বামী মো: আইয়ুব পূর্বে বিক্রি করে দেয়।
এদিকে এরপরও এলাকার উক্ত চাঁদাবাজরা চাঁদা আদায় করতে না পারায় এখনও জোর-জুলুমবাজি করে হয়রানি করে আসছে গিয়াস উদ্দিনকে। দোকানঘর তৈরি, জায়গা সম্পদ ভোগ করতে দিচ্ছেনা উক্ত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীগণ। এব্যাপারে গিয়াস উদ্দিন আইনগত আশ্রয় নিয়ে উক্ত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা ও জিডি দায়ের করেন।
পূর্বে হইতে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলা রয়েছে। যার নং- ৩১৬/২০১৪ইং, ৪১/২০২২ইং।
এরপর বিবাদীদের বিভিন্ন সময় অপকর্মের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জিডি নং-১৯৯/২০২২ইং, ২৬৬/২০২২ইং। মামলা নং হচ্ছেন- ৩০৮/২০২২ইং, ৩৬৪/২০২২ইং, ৩৮৮/২০২২ইং, ৫০২/২০২২ইং, ৫৩২/২০২২ইং, সাধারণ ডায়েরী নং ১৩৪১/২০২২ইং, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় মামলা নং- ৪৮/ ২০২৩ইং দায়ের করেন।
এদিকে নং- ৩৮৮/২২ইং একটি মামলায় গত ২ আগষ্ট মো: আলি ও ড্রাইবার হারুন গ্রেফতার হয়। জামিন নিয়ে বের হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৭ আগষ্ট পুনরায় বাদীর বসত ঘরে বে-আইনিভাবে ডুকে সবাইকে মারধর করে। বাড়ির নিরাপত্তার ৮টি সিসি ক্যামরা ভেঙ্গে দেয় ও নিয়ে নেয়, এরপর বাড়ির জিনিসপত্র, গুরত্বপূর্ণ ডকুমেন্টপত্র লুট করে ও চুরি করে নিয়ে নেয়। বাড়ির দরজার হুক ভেঙ্গে ফেলে, যাতে সেখানে অবস্থান বা থাকতে না পারে। এরপর গিয়াস ও আহতদের চিকিৎসার জন্য বাহির হলে মার্কেট থেকে জোরপূর্বক ধরে হত্যার উদ্দেশ্য অপহরণ করে রাইজিং স্টার ক্লাব ঘরে নিয়ে বেধে রেখে মারধর করতে থাকে। পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা করে আহত অবস্থায় উদ্ধার করলে গিয়াস প্রাণে রক্ষা পাই, উক্ত গত ৭ আগষ্ট বাড়ি ঘরে হামলা, মারধর ও হত্যার উদ্দেশ্য অপহরণ করা বিষয় নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মাননীয় চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা নং- ৪১৬/ ২০২৩ ইং দায়ের করেন। উক্ত মামলাটি মাননীয় আদালত সিআইডিকে তদন্ত দেন।
উল্লেখিত ৭ আগষ্ট হামলা,লুটপাঠ ও অপহরণের ঘটনায় থানায় দায়ের অভিযোগ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন সাতকানিয়া থানার এস আই আবু বক্কর। আবু বক্কর ঘটনা স্বীকার করে বলেন, গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি ঘরে হামলা ও গিয়াস উদ্দিনকে অপহরণ করার ঘটনাটি সত্য, এলাকার খিতামুল্লাহ পাড়ার সর্দার মো: শফি সওদাগরসহ অনেকে বলেছে। এছাড়াও ১নং বিবাদী মো: আলি নিজেও স্বীকার করে বলেন, গিয়াস উদ্দিনকে সে জোর করে ধরে নিয়েছে।
এদিকে চিকিৎসা শেষে বাদী মো: গিয়াস উদ্দিনের পরিবার রহিমা আক্তার ছেলে সন্তান ও নানা হাফেজ ফারুখ আহমদকে নিয়ে বাড়িতে যায়। বাড়িতে গেলে বিবাদীগণ একত্রিত হয়ে বাড়ির বাইরে গালি গালাজ করতে থাকে এবং মারধর করার পরিকল্পনা করে।
ঠের পেয়ে জরুরী সেবা ৯৯৯ কল করলে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাদের সাথে নিয়ে আসে। এব্যাপারে রহিমা আক্তার সাতকানিয়া থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগ এস আই নাহিদ তদন্ত করেছেন।
বর্তমানে বাদী ও বাদীর পরিবার পরিজন বাড়িতে বসবাস করতে পারছেননা উক্ত সন্ত্রাসীর কারনে, তারা প্রাণ রক্ষার্থে অন্যত্র চলিয়া যায়। বাড়ি ঘরের কোন খবরা খবর নিতে পারছেনা ও নিতে দিচ্ছেনা। চাঁদাবাজরা বাড়ি-ঘর ও দোকান পাট দখল করার চেষ্টা করছে এবং বাড়ির জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে নিছে।
এদিকে বাদী উক্ত ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করে প্রশাসনসহ মাননীয় উপজেলা চেয়ারম্যান, মাননীয় এমপি মহোদয় ও মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয়, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সকলের নিকট ন্যায় বিচার চেয়ে অপরাধিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি চেয়ে গিয়াস ও তার পরিবার পরিজনের নিজস্ব ও ভোগ দখলিয় জায়গায় বসবাস করতে পারে এবং প্রাণ ও ধন-সম্পদ রক্ষা করার জন্য নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন বাদী গিয়াস উদ্দিন।
দীর্ঘদিন থেকে গিয়াস উদ্দিন বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক লোকাল পত্রিকায় দায়িত্ব পালন করে আসছে। পূর্বে দায়িত্ব পালন পত্রিকাগুলো যথাক্রমে- মাসিক সাতকানিয়া-লোহাগাড়া বার্তা, সাপ্তাহিক-পূর্ববাংলা রেজি নং- ১৪৭, সাপ্তাহিক- আবেদন রজি নং- চ, ১৯১, জাতীয় সাপ্তাহিক- বাংলার স্বপ্ন রেজি: নং- ঢা: ২১২, পাক্ষিক মেহেদী রেজি নং- ৩০৫,