নিজস্ব প্রতিবেদক : রামুতে এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলী খায়রুল আলম ও কর্মকতা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুনীতিসহ ঘুষ বাণিজ্যে ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
দীর্ঘদিন যাবত রামু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রামু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাস্তবায়িত সরকারি কাজে অনিয়ম, দুনীতি, স্বজন প্রীতি সহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম অভিযোগ পাওয়া গেছে । বিগত সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজে স্হানীয় কক্সবাজার সদর - রামু - ঈদগাও -৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও রশিদ নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম ডি শাহ আলমসহ প্রভাবশালী কয়েক জন ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে রাস্তা, কালভার্ট ও নদী খনন কাজ যথায়থ ভাবে সমাপ্ত না করে রামু এবং কক্সবাজারের ঠিকাদারদের সাথে হাত মিলে লক্ষ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। না দিলে ঠিকাদারদের প্রকল্পের কাজ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বন্ধ করে দিত বলে অভিযোগ রয়েছে।
উল্লখ্য যে, ঈদগাহ - ঈদগড় সড়ক, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নন্দখালী - পিএমখালী সংযোগ সড়কের ৩৬ কোটি টাকার ব্রিজ, রামু কলেজ গেইট টু মাজহারুল উঠলুম মাদ্রাসা সড়ক, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা রাজারকুল সড়ক, গর্জনিয়া ও বাইশারী সড়কের ব্যাপক পুকুর চুরি ও অনিয়মের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা হয়েছে। উক্ত সড়কের সাথে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের সাথে উপসহকারী প্রকৌশলী খায়রুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম সহ এলজিইডি কার্যালয়ের কয়েক জন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারি ভাবে দুই বছরের অধিক কোন কর্মকর্তা একই কর্মস্হলে থাকতে পারে না এই মর্মে প্রজ্ঞাপন থাকলে ও তাহা মানা হচ্ছে না। উপসহকারী প্রকৌশলী খায়রুল আলম দীর্ঘদিন রামু এলজিইডিতে দায়িত্ব পালন করে টেকনাফ উপজেলায় তাকে বদলী করা হয়েছিল। পরে পূনরায় রামুতে উধ্বর্তব কর্তৃপক্ষকে মোটা অংকের ঘোষ প্রদান করে রামুতে বদলি হয়ে আসেন। রামুতে আসার পর থেকে খায়রুল আলম ও তার সহকর্মীরা মিলে সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের ইশারায় দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা- রাজারকুল সড়ক ও গর্জনিয়া বাইশারী সড়কে ব্যাপক অনিয়ম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিডিউল অনুয়ায়ী কাজ না করে স্হানীয় এলজিইডি কর্মকর্তা ও কম্পিউটার ম্যান আবু তাহের স্হানীয় ঠিকাদার ও ইউপি চেয়ারম্যান/ মেম্বার দের বিভিন্ন প্রকল্পের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো।বর্তমানে তাদের সহায় সম্পদের বিবরণী তদন্ত করলে তলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। এবং যাহা তদন্ত করলে উন্নয়ন কাজের মান সম্পর্কে গুনগত মান কতটুকু হয়েছে সমস্ত কিছু বেরিয়ে আসবে।
স্হানীয় সচেতন মহল উক্ত উল্লেখিত কাজের মান যাচাই বাছাই সহ জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহণ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী খাইরুল আলম ও জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এলাকার সচেতন -ছাত্র জনতা উধ্ব্যর্তন কতৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছেন।
এব্যপারে রামু উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী খাইরুল ইসলাম'র কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান -উল্লেখিত সড়কে এ ধরনের কোন অনিয়ম ও দূর্ণীতি হয়নি। আমরা কোন চাঁদা বাজি করি নাই।
অন্য দিকে ২৬ শে মার্চ, ১৫ ই আগষ্ট,১৬ ই ডিসেম্বর এবং বিভিন্ন সময়ে মিটিং এর নাম ভাংগিয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৫% করে চাঁদা টাকা আদায় করা হতো। টাকা না দিলে স্হানীয় সংসদ সদস্যের পেঠুয়া বাহিনী দিয়ে ঠিকাদারদের লাঞ্ছিত করা হতো। এর গুরু দায়িত্ব পালন করতেন রামু এলজিইডি প্রকৌশলী মন্জুর হাসান ভূইয়া এবং ক্যাসিয়ার হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী খায়রুল ইসলাম।