
খবর ডেস্ক:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ২ প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ৬ মার্চ বুধবার বিকাল থেকে রাতের যেকোন সময় উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ হাতিয়ারকুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চোরের দল বাড়ির দরজার তালা ভেঙে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
চুরি হওয়া বাড়ির মালিক হলেন- দুবাই প্রবাসী হারুনর রশিদ ও সৌদি আরব প্রবাসী এহেছানুল করিম।
চুরি হওয়া বাড়ির মালিক হারুনের সহধর্মিণী নিলুফা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমি ছেলে-মেয়ে নিয়ে একই এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেডাতে যাই। গত বুধবার রাতে বাড়িতে এসে দেখি বাড়ির দরজা, স্টিলের ও কাঠের আলমিরা ভাঙা। এবং বাড়ির পাশে দেবর সৌদি আরব প্রবাসী এহেছানের বাড়ির দরজার তালা ভাঙা।
পরে তার ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখি সব জিনিসপত্র চোরেরা তছনচ করে ফেলছে। এসময় চোরেরা বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
ঘটনা তদন্ত আসা সাতকানিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাইরুল হাসান চুরির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চুরি হওয়া বাড়িতে কেউ ছিল না। বাড়ির বেশ কিছু জিনিসপত্র তছনচ করে ফেলেছে।
পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে জানতে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকারের মোবাইলে কল করে যোগাযোগে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে, এলাকাবাসী ও সূত্রে কিছুদিন থেকে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার বেশ কিছু এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। আবার কিছু কিছু জায়গায় জবর দখল,ভাড়াটিয়া, চাঁদাবাজি, কু-প্রস্তাব, ভাড়ি ঘর ভাংচুর, আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুল, সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি ও জায়গা দখল করতে ভূমিদস্য ও চাঁদাবাজরা তার দোকান পুড়ে দেয়া, অবশেষে তাকে অপহরণ করে মারধর ও বাড়ির জিনিসপত্র চুরি ও লুট করে নিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন ঘটনা ঘটলেও আইনের আশ্রয় নিয়েও একটাও উপযুক্ত শাস্তি পাই নাই অপরাধীরা। যার ফলে অপকর্মকারিরা দিনদিন বেপরোয়া বলে মন্তব্য করেন ভূক্তভোগি ও এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা।
সূত্রে, গত ৭ই জানুয়ারি সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিনের মোবাইল ০১৮১১-৫৮৭৭৬০ নাম্বারে রাত ৯টা-২৭ মিনিটে ০১৮১৬-৮০৩০৩০ থেকে হূমকি, পরে জানতে পারে এলাকার চাঁদাবাজ নাজিম্যার ছেলে কিশোরগ্যাং সদস্য মাঈন উদ্দিন্যা এ হুমকি দেন। ঐদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে প্রচার করেন গিয়াস উদ্দিন।
অপরদিকে গিয়াস উদ্দিনের জায়গা দখলে বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র নিয়ে যায় চাঁদাবাজ মেম্বার ছফুর, নাজিম্যা ও মো: আলিগং। বারবার অভিযোগ ও সংবাদ প্রকাশ করলেও ব্যবস্থা নেয়নি থানা প্রশাসন। অন্তত ১০টি মামলা করেন গিয়াস উদ্দিন।
২। ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার সাতকানিয়ার কেওচিয়ার ১ মাদরাসা শিক্ষার্থীকে বলৎকার। উক্ত বিষয়ে ৯ জানুয়ারি উপজেলায় অভিযোগ দায়ের, ১০ই জানুয়ারি আজাদী পত্রিকাসহ বেশ সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ।
৩। লোহাগাড়ার বড় হাতিয়া ১নং ওয়ার্ডে চুরির ঘটনা ঘটে। ১১ জানুয়ারি ভোরে মাইজপাড়া নিবাসী আব্দুল গফুরের পুত্র শাহ আলমের বাড়িতে এ চুরির ঘটনা ঘটে। থানায় অভিযোগ ও সংবাদ প্রকাশ।
৪। গারাংগিয়া এলাকায় মাটি কেখোরা টপ সয়েল্ট কাটায় অভিযান পরিচালনা করেন প্রশাসন। ১৩ জানুয়ারি হাতেনাতে ধরে দক্ষিণ রুপকানিয়া গাজির পাড়ার ইমাম উদ্দিনের ছেলে রেজাউলকে ৫০ হাজার টাকা ও অপর ১ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন প্রশাসন। সূত্রে প্রকৃত পক্ষে রেজাউল একজন সিএনজি চালক হলেও সে অবৈধ মাটিকাটা, ইয়াবা ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। কিশোরগ্যাং এর অন্যতম সদস্য হওয়ায় এলাকার কেউই তার বিরুদ্ধে কথা বলেনা। এলাকার বেশ কিছু লোকে দু:খ প্রকাশ করে জানান, যে যতটুকু মানুষ সে তথটুকু কাজ করলে মানায়।
৫। মাটি কাটায় সাতকানিয়ার বড় দুয়ারায় অভিযান পরিচালনা করেন প্রশাসন।
৬। গত ১৪ জানুয়ারি মাটি কাটার দায়ে সাতকানিয়ার আব্দুল মন্নান নামে ১ব্যক্তিকে ৩দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন প্রশাসন।
৭। গত ২০ জানুয়ারি সাতকানিয়ার ৪ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ ধরে পুলিশে দেন স্থানীয় জনতা। সংবাদ প্রকাশ।
৮। গত ২৪ জানুয়ারি পুলিশ পরিচয়ে সাতকানিয়ার ইটভাটায় ডাকাতি। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশ।
৯। সাহাব উদ্দিন নামে ১ব্যক্তিকে হত্যা করার অভিযোগ উঠে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
গত ২ মার্চ সাতকানিয়ার হাতিয়ারকূল আব্দুল আলিমের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। আব্দুল আলিম একজন জেলা পরিষদ সদস্য।
১০। লোহাগাড়ায় ১ সংবাদকর্মী লাঞ্ছিত হবার ঘটনা ঘটে। গত ৩মার্চ ঠিকাদার মন্ঞ্জুর আলমের বক্তব্য নিতে গিয়ে লোহাগাড়া উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে লোহাগাড়ায় মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে এবং আল্টিমেটাম দিয়ে ঠিকাদার অপরাধীর বিচার দাবি করেন সংবাদকর্মীরা। আরো তথ্য আছে..