
খবর ডেস্ক :
চট্টগ্রাম-১৫ আসনে (সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায়) শান্তি ফেরাতে নবনির্বাচিত এমপি এমএ মোতালেব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে প্রশাসনকে সাঁড়াশি অভিযানের নির্দেশও দিয়েছেন।
রোববার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় ও পরবর্তী ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
সাবেক এমপি ও তার স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন উল্লেখ করে- তার পরিবারের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করারও ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান এমপি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এমপি মোতালেবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, সদস্য সচিব ও সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আহমদ সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ফয়েজ আহমদ লিটন, সাতকানিয়া উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শফিফুল ইসলাম ও সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোতালেব বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও তার স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রমাগত মিথ্যাচার শুরু করেছেন। তারা নানা উসকানিমূলক অসত্য তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে উত্তেজিত ও বিব্রত করার অপচেষ্টায় নেমেছেন। তারা স্থানীয় সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছেন। এ ধরনের অনেক তথ্য প্রশাসন এবং আমাদের হাতে রয়েছে। তারা ১০ বছর এলাকায় নানা অত্যাচার ও জুলুম করেছেন। আমি তাদের হাতে গত ১০ বছরে নির্যাতিত মানুষদের কথা দিয়েছিলাম যেকোনো অবস্থায় আপনাদের পাশে থাকব। এখানে সন্ত্রাস ও প্রতিহিংসার শিকার অনেকেই উপস্থিত আছেন। আমি তাদের আইনি সহযোগিতা দেব- যাতে তারা মিথ্যা মামলায় হয়রানি থেকে মুক্ত হতে পারেন। মাদার্শা, এওচিয়া, সোনাকানিয়া, নলুয়া, চরতী ইউনিয়নে বালু মহাল দখল বেদখল, টপসয়েল বিক্রির মহোৎসব, কৃষককে গুলি করা, বন উজাড় করা, মানুষের বাড়ি ভিটা দখল, ইটভাটা দখল, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে সবকিছুই করেছেন তারা। সাবেক এমপি ও তার পরিবার অরাজকতা ও নৈরাজ্য ছাড়া কিছুই দিতে পারেননি। কথায় কথায় মানুষের সম্মানহানি করা, নিজের আধিপত্য নিশ্চিত করে তিনি সাতকানিয়াকে আতঙ্কের জনপদে পরিণত করেছিলেন। আমরা তার ও তার পরিবারের দুর্নীতির শ্বেতপত্র খুব শিগগরই প্রকাশ করব।