
খবর ডেস্ক :
নৌকা প্রতীকের লোকজন হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। এ বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসক, স্থানীয় প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
শুক্রবার দুপুরে নবাবগঞ্জের কামারখোলায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ অভিযোগ করেন।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে জাতীয় পার্টিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্য প্রার্থীর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাতে না যান সেজন্য হুমকি দিচ্ছেন নৌকা প্রতীকের লোকজন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, স্থানীয় প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এবারের নির্বাচনের সঙ্গে দেশের স্বার্থ জড়িত। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। আমি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বলব- আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী। সারা দেশের মতো দোহার-নবাবগঞ্জে যাতে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নাগরিক অধিকার ব্যস্তবায়ন, পছন্দের মানুষকে এমপি নির্বাচিত এবং এই এলাকার উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করতে পারে- সেদিক বিবেচনা করে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে আপনারা সেই দায়িত্বটুকু পালন করবেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কলাকোপাসহ দুই-তিনটি ইউনিয়নের কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি যারা এ অঞ্চলে সুবিধাবাদী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত; তারা আমার ভোটারসহ অন্যান্য প্রার্থী ও তার লোকজনকে হুমকি দিচ্ছেন; যাতে জাতীয় পার্টির লোকজন ভোট দিতে কেন্দ্রে না আসেন। নির্বাচন কমিশন, সরকার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে একটাই দাবি, দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে দোহার-নবাবগঞ্জবাসী চেয়ে আছে আপনাদের দিকে। আপনাদের সহযোগিতায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব।
সালমা ইসলাম বলেন, আগামী রোববার ৭ জানুয়ারি সেই প্রত্যাশিত দিনের অপক্ষোয় রয়েছেন দেশবাসী। শুধু প্রয়োজন ভোটাধিকার প্রয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ। এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে সবাইকে অবহিত করেছেন। বিষয়টি আপনারা অবগত আছেন।
নবাবগঞ্জের কৈলাইল ভাঙ্গাভিটা গ্রামের সুকুমার বাবু যুগান্তরকে বলেন, আমার ভোট আমি দেব যাকে ইচ্ছা তাকে দেব; কিন্তু ভয় কেন দেখাবেন ভোটারদের। প্রধানমন্ত্রী তো বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা। ভোটারকে যদি অজ্ঞাতনামা লোক, সন্ত্রাসীরা হুমকি দেন তাহলে অনেকেই ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। তখন বদনাম হবে কার? সবাই যাতে ভোট দিতে পারে সেই বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
দোহার উপজেলার নারিশা মাঝিরচর এলাকার গৃহিণী সালমা বেগম বলেন, গতবার ভোট দিতে পারি নাই। এবার যদি আমার ভোট আমি দিতে না পারি তাহলে জীবনে আর কোনো দিন ভোট দিতে যাব না।
নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বালেঙ্গা গ্রামের ভোটার বৃদ্ধ আব্দুর রহমানের অভিযোগ, বিগত ইউপি নির্বাচনে চেয়্যারম্যান পদে ভোট দিতে পারি নাই। জীবনের শেষ সময় এখন। শেখের বেটি ক্ষমতায় থাকতে যদি এবার ভোট দিতে না পারি তাহলে এ দুঃখ কোথায় রাখব।