জায়গার জমির বিরোধে নির্মাণ ভাঙচুর ও গাছ-পালা কর্তন দৃশ্য
জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী (রিকু) : চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে নির্মাণাধীন স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এক যুবদল নেতা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে । গত ২৪ মে হাটহাজারীধীন ফতেয়াবাদ ইউনিয়নের বটতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনার পর থানায় অভিযোগ করা হলেও এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
ভাইরাল ভিডিও সূত্র: ‘নরমাল নাহিন’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২৪ মে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি নির্মাণাধীন ড্রেনের কংক্রিটের ওয়াল ভেঙে ফেলছেন। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়, “পারিবারিক জমিতে কাজ চলছিল, যুবদল নেতা মহিউদ্দিন লোকজন নিয়ে এসে ভাঙচুর করে, প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি।”
ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
“হুমকি দিয়ে বলা হয়—তোমাদের নামে মামলা হবে”
ভুক্তভোগী এস এম নাহিন উদ্দিন বলেন, “ঘটনার সময় আমরা বাড়িতে ছিলাম না। ফিরে এসে দেখি, নির্মাণ ভাঙা হচ্ছে। বাধা দিতে গেলে উল্টো তারা বলেন, ‘তোমাদের নামে মামলা হবে।
তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে মহিউদ্দিন আমাদের জায়গা দখলের চেষ্টা করছেন। এখনো আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানেও পরিবার নিয়ে আতঙ্কে আছি।
অভিযুক্তর সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত যুবদল নেতা মহিউদ্দিন বলেন, “জমিটি আমাদের। দীর্ঘদিন ধরে সীমানা নিয়ে বিরোধ আছে। প্রতিপক্ষ আমাদের জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছিল। আমরা কাউকে হুমকি দিইনি, বরং আইনি পথেই এগোতে চাই।
তবে ভিডিওতে দেখা যাওয়া ভাঙচুর এবং তার নেতৃত্বে উপস্থিত থাকা প্রশ্ন তুলছে অভিযুক্তের বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে।
অভিযোগ উঠছে উক্ত বিষয় নিয়ে সাংবাদিকগণ সঠিক ঘটনা জানার জন্য তদন্তে গেলে সাংবাদিকদের প্রতিও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে অভিযুক্ত। ঘটনাস্থলে যাওয়া কয়েকজন সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন, সালাউদ্দিন নামের ১জন ব্যক্তি তাদের ভিডিও করেন এবং অসৌজন্যমূলক ভাষা ও সাংবাদিকসহ মামলা দেয়ার হুমকি দেন। এতে সংবাদ সংগ্রহের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হয়।
সূত্রে হাটহাজারী থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ এখনও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) তারেক আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে প্রশাসন কঠোর হতে পারছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কয়েক স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে বিভিন্ন স্থানের রুপ এখানেও “দলীয় পরিচয়ে অপকর্ম করে যাচ্ছে, কোন না কোন ঘটনার ব্যাপারে প্রশাসনকে জানালেও হঠাৎ ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তারা মনে করে এধরনের ব্যবস্থা না নেয়ায় ঘটনা বৃদ্ধি ও বড় ধরনের ঘটনা ঘটছে বলেও জানান।
এদিকে ভূক্তভোগি ও এলাকাবাসী প্রশাসনের নিকট দাবি জানান দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার। অন্যতায় রক্ষক্ষয়ি ঘটনার সম্ভাবনা মনে করে তারা।