
খবর ডেস্ক :
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মায়ের সঙ্গে ১১ মাসের শিশু নিরাপদেই আছেন। তাকে দেখভাল করছে কারাগারের ভেতরে অবস্থিত ডে-কেয়ার সেন্টার। সেখানে শিশুখাদ্যের ব্যবস্থা রয়েছে। হাইকোর্টে এমন প্রতিবেদন দাখিল করেছেন সিলেট কারাকর্তৃপক্ষ।
গতকাল বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
গত ১৭ ডিসেম্বর হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মায়ের সঙ্গে ১০ মাসের শিশু মাহিদা থাকার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেন একই আদালত। শিশুটি ফাঁসির সেলে কি অবস্থায় আছে, শিশুকে কি কি সুবিধা দেয়া হচ্ছে- এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে আইজি (প্রিজন)-কে নির্দেশ দেয়া হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।
এর আগে গতবছর ৩০ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ফাঁসির সেলে কেমন আছে ১০ মাসের মাহিদা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে রিট করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় মায়ের মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ায় মায়ের সঙ্গেই ফাঁসির সেলে বন্দী আছে ১০ মাসের শিশু মাহিদা। ১ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে নিহত গৃহবধু আয়েশা আক্তারের বাবা আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, চুনারুঘাট থানার সাদেকপুর গ্রামের নিহত আয়েশা আক্তারের স্বামী রাসেল মিয়া, রাসেল মিয়ার মা তাহেরা খাতুন, ভাই কাউছার মিয়া, বোন রোজী আক্তার ও হুছনা আক্তার। মামলায় ৫ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে গত ২৬ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জাহিদুল হক। আসামি কাউছার মিয়া পলাতক। অন্য আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার দিন মা হুছনা আক্তারের সঙ্গেই আদালতে এসেছিল ১০ মাসের শিশু মাহিদা। রায় ঘোষণার পর মায়ের সঙ্গে মাহিদার জায়গা হয় হবিগঞ্জ কারাগারের ফাঁসির সেলে। হত্যাকাণ্ডের সময় হুছনা কলেজে লেখাপড়া করত। দুই বছর আগে একই গ্রামের মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।