নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনায় চুরির ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানাযায়, বারদোনার শাহ মজিদিয়া মার্কেটস্থ মেসার্স শাহ জাব্বারিয়া স্টোরে এ চুরির ঘটনা ঘটে। মেসার্স জাব্বারিয়া স্টোরের প্রোপ্রাইটর আব্দুর রহিম জানান, গতকাল ২৮জুন, শুক্রবার প্রতিদিনের নিয়ত রাত ১২টার সময় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। তাহার বাড়ি সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড গারাংগিয়া এলাকায়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১ মাইল দুরত্ব। পরদিন সকালে সে দোকানে এসে দেখতে পায় তার দোকানে চুর ডুকেছে। তার রেখে যাওয়া টাকা নেই। জানতে চাইলে সে জানান, পাটিকে দেয়ার জন্য রেখে যাওয়া প্রায় ২ লাখ ২০/৩০ হাজার টাকা চুরেরা নিয়ে নেয়, অন্য কোন জিনিসপত্র নেয় নাই। দোকানের উপরে টিনের চাল কেটে চুরের দলের লোকেরা তার উক্ত দোকান চুরি করে উক্ত টাকা নিয়ে নেয়। সূত্রে ও রহিম সওদাগর জানান, উক্ত মার্কেটে ২জন মাষিক বেতনদারি নৈশ প্রহরী দারোয়ান রয়েছে, অথচ উক্ত দারোয়ানরা দেখে নাই এবং তারা কিছু জানেনা বলে জানান। খবর পেয়ে মার্কেট সভাপতি মো: আলি ও অন্যান্য অনেক লোকজন দেখতে আসলেও অত্র ওয়ার্ড মেম্বার ছফুর ড্রাইবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসে নাই বলে জানান। রহিম সওদাগর অভিযোগ করে বলেন, উপস্থিত লোকজন ও মার্কেটের সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ি এস এম বাকি বিল্লা শিবলী ঘটনাস্থলে এসে ছবি তুললে তাকে মো: আলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কোনদিকে প্রকাশ না করার জন্য বারন করে বলেও অভিযোগ করেন। কেন প্রকাশ করব না এমন প্রশ্নে মো: আলি কোন সদ উত্তর দেয়নি বলেও জানান। এ ব্যাপারে এস এম বাকি বিল্লা শিবলী স্বীকার করে আমাদের খবরকে জানান, রাতের কোন এক সময় দোকানের চালে উঠে টিন কেটে চাউলের বস্তা বেয়ে দোকানের ভিতরে চুরেরা প্রবেশ করে। এরপর ব্যবসায়িক ও পাটিকে দেয়ার জন্য রাখা ২ লাখ টাকার উর্ধে চুরেরা নিয়ে নেয়। মো: আলি প্রকাশ না করার ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বীকার করে বলেন কোথাও প্রকাশ না করতে বারন করে, কেন জানতে চাইলে তাকে মানক্ষুন্ন হবে বলে জানান। এব্যাপারে সভাপতি মো: আলি ও মেম্বার ছফুরের নিকট মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ না হওয়ায় তাদের বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
সূত্রে জানা যায়, গত মাসের শেষের দিকে ২৫ মে উল্লেখিত ওয়ার্ডে চুরি সংঘটিত হয়। উক্ত চুরের দলেরা রাতের আধারে বাগানের গাছ কেটে বিক্রি করার সময় এলাকাবাসির হাতে ধরা পড়ে ২ চোর। তারা হলেন- খিতামুল্লাহ পাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে নুরুল আমিন রাশেল অপরজন হলেন- বারদোনা ৭নং ওয়ার্ডের খুলু মিয়ার ছেলে শফিকূল আলম। নুরুল আমিন রাসেল উক্ত ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার ছফুর ড্রাইবারের আপন ভাইপুত। উক্ত চুরির ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় মামলা নং-৪, তাং- ৩ জুন ২০২৪ইং। মামলার আসামিরা হলেন- ১। নূরুল আমিন ২। শফিকূল আলম। ৩। মাঈন উদ্দিন, সে ৭নং ওয়ার্ডের নাজিম ড্রাইবারের ছেলে ৪। শাহাদত হোসেন রিজভী, সে ঐ নাজিম ড্রাইবারের ছেলে ও ৫। মো: ফরহাদ, সে ৮নং ওয়ার্ড মৌলভী পাড়ার ফরিদের ছেলে।
এদিকে গত ৬ জুন সাতকানিয়া থানা পুলিশ ১নং আসামি নুরুল আমিনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। গত ৯জুন জামিনের আবেদন করলে মাননীয় আদালত জামিন মঞ্জুর করলে নুরুল আমিন জামিনে বের হয়। অন্যান্য আসামিরা এখনও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে নাই। এদিকে গতকাল ২৮জুন শুক্রবার একেই এলাকায় পুনরায় চুরি ঘটনা ঘটে বলে জানাযায়। বর্তমানে বারদোনা এলাকায় সাধারণ লোকজন চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মে আতংকে বসবাস করতেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।