
জনাব, বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী একজন সংবাদকর্মী হই। আমি চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানাধীন ১৬ সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনা ০৮ নং ওয়ার্ডস্থ ( শাহ মজিদিয়া মার্কেটের) স্থায়ী বাসিন্দা ও মরহুম আব্দুল মাবুদ ও মরহুমা মমতাজ বেগমের একমাত্র ছেলে।
বিবাদীদের বিরুদ্ধে আমি এই অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, উল্লেখিত বিবাদীগণ এলাকার জোর-জুলুমবাজ, লম্পট, পরধন আত্নসাৎকারী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হয়। তারা দেশের প্রচলিত আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করিয়া চলে।
এদিকে আমি দীর্ঘ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় কাজ করে আসছি। আমি প্রয়োজনে কিছু জায়গা বিক্রি করলে, গত ২০২০সাল থেকে আমার অর্থবিত্ত ও সম্পদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে এলাকার অসাধু ব্যক্তিরা আমার নিকট থেকে চাঁদা আদায় চেষ্টা করে আসছিল। আমি চাঁদা না দেয়ায় আমার উক্ত জায়গা দখল করে আত্নসাৎ করার জন্য উক্ত অসাধুগং আরেফা বেগমকে পক্ষ নেন। উক্ত বিষয়ে আরেফাগং এর বিরুদ্ধে আমি আইনের আশ্রয় নিয়ে সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলা করি, যার নং- ৪১/২০২২ইং, তাং- ৩/০২/২০২২ইং। উক্ত মামলায় বিবাদীগণ আমার জায়গায় প্রবেশ না করার জন্য আদালত আদেশ জারি করেন। এরপরও মামলা থাকা সত্বেও আমার জায়গা জোরপূর্বক দখল করতে উল্লেখিত বিবাদীগণ ছাড়াও এলাকার ও বহিরাগত ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে বারবার হামলা চালায়। একপর্যায়ে আমার নিজস্ব মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি দিন দুপুরে তালাবদ্ধ করে বন্ধ করে দেয়। এরপর আমার বাড়ি-ঘরে হামলা চালালে, আমি তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করি, যার নং- ৩০৮, ও জিডি নং হচ্ছে- ১৯৯, তাং-২৯/০৬/২০২২ইং, এরপর হামলা চালালে মামলা নং ৩৬৪/২০২২ইং, এরপর ৩৮৮/২০২২ইং দায়ের করি। এরপরও আমাকে হয়রানি করে এলাকা থেকে উচ্ছে করতে আমার বিরুদ্ধে একে একে ২টি মিথ্যা নারী ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দেন। এরপরও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি কৌশলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে প্রায় ৭০লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। অপরদিকে আরেফাগং এর ভাড়াটিয়া চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীরা আমাকে জড়িয়ে ফেইজবুকসহ বিভিন্ন জঘন্য মিথ্যাচার, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কথাবার্তা অপপ্রচার করে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে চাঁদা আদায় করার চেষ্টা করে। যেসব মিথ্যাচারের সাথে সত্যের লেশমাত্র নেই। এদিকে অপকর্ম দলের চম্পা আক্তার হত্যার উদ্দেশ্য গত ৮ অক্টোবর ২০২২ ইং আমাকে ফুটন্ত গরম তৈল নিক্ষেপ করে এতে আমার শরীরের ডান বাহু জলসে যায়। এই ঘটনাতে আমি বাদী হয়ে চম্পার বিরুদ্ধে মাননীয় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করি। যার নং- ৫৩২, তাং-১৬/১০/ ২০২২ ইং, উক্ত মামলা করায় এরপর গত ২৬ অক্টোবর ২০২২ ইং আমার নিজ বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরাপত্তার জন্য লাগানো ৪টি সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে। যাতে তাদের অপকর্ম ও আমার বাড়ি ঘরে হামলার কোন চিত্রের ঘটনাগুলি ক্যামেরায় ধারন না হয়। উক্ত ঘটনায়ও আমি বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি জিডি করি। যার নং-১৩৪১/২০২২ ইং, এদিকে ৫৩২/২০২২ইং মামলার প্রতিবেদন থানা পুলিশ মাননীয় আদালতে প্রেরণ করলে মাননীয় বিচারক আসামী চম্পার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। দীর্ঘ ১ মাস পলাতক থাকার পর, গত ২২ মে ২০২৩ ইং চম্পা আক্তার আদালতে জামিন চাইলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করে। এতে চম্পা ১৫ দিন কারাভোগ করার পর জামিনে বের হয়। জামিনে বের হওয়ার পর থেকে চম্পাগং আমাকে ফাঁসানোর জন্য এবং এলাকা ছাড়া করার জন্য নানা অপকর্ম করে। আমি তাদের উক্ত অপকর্মের সংবাদ ধারাবাহিকভাবে পত্রিকায় তুলে ধরে প্রকাশ করি। বিবাদীগণ আমাকে ফাঁসানোর জন্য চম্পাকে ধর্ষণ করার চেষ্টার অভিযোগ তুলে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এদিকে আরেফা ও চম্পাগং আমাকে উচ্ছেদ করে আমার জায়গা সম্পদ ও পাওনা টাকা আত্নসাৎ করতে তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। আমাকে ফাঁসার জন্য তারা আমার বিবাদী তছলিমা ও চম্পা ২ মহিলা পৃথক পৃথক আমার বিরুদ্ধে নারীও শিশু নির্যাতন আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। অপরদিকে ৩৮৮/২২ইং মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত ২ আসামীকে গত ২ আগষ্ট ২০২৩ইং মো: আলী ও হারুন ড্রাইবারকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। তারা জামিন নিয়ে এদিকে গত ৭ আগষ্ট আরেফা ও চম্পার ভাড়াটিয়া অন্যান্য আসামীরা সকলে আমার বাড়ি ঘরে হামলা, লুটপাট, চুরি ও আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য অপহরণ করে। এতে আমিসহ ৩ জন আহত হই, থানা পুলিশের সহযোগিতায় প্রাণে রক্ষা পায় আমি। সে ব্যাপারেও আরেকটি মামলা করি, যার নং- ৪১৬, তাং- ১৪/০৮/২০২৩ইং। উক্ত মামলাটি সিআইডি তদন্ত করে মাননীয় আদালতকে তদন্ত রিপোর্ট প্রধান করলে কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এতেও জামিন নিয়ে এখন তারা প্রতিনিয়ত আমাকে বিভিন্ন প্রকার হয়রানি ও মামলায় জড়িয়ে আমার জীবনকে অতিষ্ঠ করে দিচ্ছে এবং আমাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি ও চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাড়ি ঘর ছেড়ে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন প্রাণ রক্ষার্থে অন্যত্র মানবেতর জীবন যাপন করতেছি। শেষ দায়ের ৪১৬/২৩ইং মামলায়ও জামিন নিয়ে উল্লেখিত বিবাদীগণ আমার বাড়ির সম্পূর্ণ জিনিসপত্রাদি নিয়ে নেয়। বর্তমানে উক্ত চক্র মামলা, হামলা করে আমার জায়গায় আমাকে যেতে দিচ্ছেনা এবং আমার দোকানের ভাড়া জোরপূর্ক তারা নিয়ে ভূগ করতেছে। এব্যাপারে পূর্বে থানায় কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন মালামাল উদ্ধার বা ব্যবস্থা করেনি। বর্তমানে আমার বাড়ি-ঘরের সকল প্রকার আসবাবপত্র নিয়ে একেবারে খালি জায়গা করে ফেলছে, উক্ত জায়গায় বাড়ি ও ঘর যে ছিল সেটা এখন প্রমাণ পাওয়া কষ্ট হবে। আমার বুড়ো নানা হাফেজ ফারুখ আহমদ, স্ত্রী রহিমা আক্তার ও ৩ ছেলে মো: সালা উদ্দিন (১৪), মো: নূর উদ্দিন (১০) ও মো: মাঈন উদ্দিন (৬) কে নিয়ে চলা আমার অক্ষম। বিবাদীরা আইনকানুন কিছুই মানছেনা, এদের একমাত্র উদ্দেশ্য যেকোন সময় তারা আমাকে হত্যা করে, আমার সম্পদগুলো দখল করা। বর্তমানে আমি কোথাও নির্ভয়ে চলাচল করতে পারছিনা, এমনকি আইনের ঘর থানা, আদালতেও যেতে পারছিনা, তারা আমাকে হত্যা করার জন্য বিভিন্ন দিকে ভাড়াটিয়া দিয়ে খুজ করতেছে। এমতাবস্থায় কোন উপায়ান্তর না পেয়ে উপরোক্ত বিষয়ে আপনার সদয় সহযোগিতা ও আইনগত সহযোগীতা কামনা করছি।
অতএব, কৃপাবিতারনে আমার অভিযোগখানা গ্রহনপূর্বক আমার বিষয়টি মানবতার সুদৃষ্টিতে সকলে দেখে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আমার জায়গা আমি ভোগ দখল ও বসবাস করতে পারি মত ব্যবস্থা করে দিলে, আমি আপনাদের নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকিব।
নিবেদক-
মো: গিয়াস উদ্দিন
বারদোনা,সাতকানিয়া চট্টগ্রাম।
01811-587760