খবর ডেস্ক :
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব। উৎসবমুখর আয়োজনে চলছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবের প্রস্তুতি। পৌষসংক্রান্তি উৎসবটি তাদের ঐতিহ্যের প্রতীক। প্রতি বছর পৌষের শেষ দিনে উৎসবটি পালন করে থাকেন তারা। ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতায় মাতেন ছোট-বড় সবাই। বর্তমানে দিনভর ঘুড়ি উড়ানোর পাশাপাশি সন্ধ্যায় আতশবাজি ও রঙ-বেরঙের ফানুশে ছেয়ে যায় বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী শহরের আকাশ।
সাকরাইন উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজার, লক্ষ্মী বাজার, নয়া বাজার, তাঁতী বাজার, গেণ্ডারিয়া, ধুপখোলা ও সূত্রাপুর এলাকায় ঘুড়ি, নাটাই ও সুতা বেচাকেনার ধুম পড়েছে। অন্যান্য বারের মতো এবারো চলছে বেচাকেনার উৎসব। শাঁখারী বাজারের ঘুড়ি বিক্রেতা জানান, গত বছরের তুলনায় এবারের বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। আশপাশের অনেকে চাহিদা অনুযায়ী ঘুড়ি কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
ঘুড়ি কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, বাড়ির ছাদে পারিবারিকভাবে সবাই সাকরাইন উৎসব করবো। ছোট-বড় মিলিয়ে ৫০টা ঘুড়ি কিনেছি। সাকরাইনের মূল আনন্দ হলো ঘুড়ি উড়ানো। সুতা দিয়েই অন্যের ঘুড়ি কেটে ফেলার মধ্যেই আসল মজা। যুববয়সে আমরা মজা করেছি। এখন নাতিরা করে। নাতিকে ৩০টি ঘুড়ি কিনে দিয়েছি। এখনো শৈশবের সোনালী ছবি দেখতে পাই।
এদিকে দিনব্যাপী ঘুড়ি উড়ানো শেষে পুরান ঢাকার অলিতে-গলিতে, বাসাবাড়ির ছাদে আয়োজন হয় ডিজেপার্টি, নাইটপার্টি। গানের তালে তালে নাচে মাতে তরুণ-তরুণীরা। এই প্রস্তুতিও দেখা গেছে বেশির ভাগ বাড়ির ছাদে। একদিন আগেই মঞ্চ সাজিয়ে বক্স বাজিয়ে প্রস্তুত তারা। তবে গান বাজনার বিষয়টিকে অপসংস্কৃতি বলে মনে করেন স্থানীয় অনেকে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘জন্মের পর থেকে বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকায়। আমরা আগেও ঘুড়ি উৎসব (সাকরাইন) করতাম। তখন ডিজেপার্টি, নাইটপার্টির আয়োজন ছিল না।