
অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। দেশের বাইরে অবস্থান করেও ভার্চুয়ালি কর্মীদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলেই তিনি দেশে ফিরবেন। একইসঙ্গে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা এবং ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নিয়ে তার মন্তব্যও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তার অংশ হিসেবে ভারত থেকে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করছে পতিত স্বৈরাচার হাসিনা। ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় থাকার চেষ্টা করছেন তিনি।
সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজ থেকে ‘খুনি’ হাসিনার বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বক্তব্য শেষে, তিনি কয়েকজন মহিলার সঙ্গে কথা বলেন, যারা আওয়ামী লীগের দাবি অনুযায়ী, গত বছরের আন্দোলনের সময় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্য। এক মহিলাকে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, “অবশ্যই আমি সাহায্য করব। আমি দেশে ফিরব।
হাসিনা তার বক্তৃতায় বলেন, “আমি আছি, এবং আমি অবশ্যই এই হত্যার বিচার করব। ওরা যতই দায়মুক্তি দিক, হত্যার বিচার একদিন হবেই।” তিনি তার পরিবারকে হত্যার পর দায়মুক্তি দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনেন এবং বলেন, বর্তমান সরকার একই পথ অনুসরণ করলেও একদিন বিচার হবেই।
এদিকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অপারেশন ডেভিল হান্ট (শয়তানের খোঁজ) নামে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে, যার আনুষ্ঠানিক নাম ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। এই অভিযানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে দুষ্কৃতীদের ধরপাকড় চলছে এবং হাজার হাজার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, এই বিষয়ে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হাসিনা প্রশ্ন তোলেন, “কে শয়তান? কাকে খোঁজা হচ্ছে?
বর্তমান সরকারের কার্যক্রমকে ব্যর্থ আখ্যা দেন শেখ হাসিনা। অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলে দেশে ফিরে এই সরকার ও তার পতনের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই বক্তব্য এবং তার দেশে ফেরার ইঙ্গিতে সর্বত্র বইছে সমালোচনার ঝড়। এমনকি খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও তার এসব উদ্ভট বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করছেন। তথ্যসূত্র :ই।