
ডেস্ক: আমার-আপনার একটু সহযোগিতায় হয়ত বাঁচতে পারে ফুটফুটে শিশু শাফায়াত (৫)। সে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলাধীন মাঝিড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাজাপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের মামুনুর রশীদ (৩৫) ও সারমিন আক্তার (২৬) দম্পতির একমাত্র ছেলে। অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে মৃত্যু প্রহর গুনছে এ অসহায় শিশুটি।
বেসরকারি একটি এনজিও তে চাকরি করতেন শিশুটির পিতা মামুনুর রশীদ, শাফায়াতের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ছুটি না পাওয়ার জন্য শেষ পর্যন্ত চাকরি ছেড়ে দিতে হয় তাকে।কষ্টার্জিত জমানো অর্থ দিয়ে চিকিৎসা করানোর পর শেষ পর্যন্ত একমাত্র ছেলের চিকিৎসার জন্য মটর সাইকেল, গরু, এবং স্ত্রীর গহনা পর্যন্ত বিক্রি করতে হয় তাকে সে এখন অসহায়। শিশুটির বয়স যখন সাড়ে ৩ বছর তখন তার জ্বর হয়, তারপর মাথা ব্যাথা প্রথমে বগুড়া স্হানীয় একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয় সেখানে তার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। এ খবর মাথায় যেন বাজ পড়ল, বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে, তার ছেলের ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে, একটি মাএ ছেলেকে বাঁচানোর জন্য রাজশাহীসহ ঢাকার আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি।
ফুটফুটে শিশুটি আজ জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে।
শিশুটির চিকিৎসা বাবদ এ পর্যন্ত প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে। শিশুটির চিকিৎসা বাবদ প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন, যা অসহায় পরিবারটির পক্ষে যোগাড় করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। একমাত্র ছেলের জীবন বাঁচাতে এখন দিশেহারা পিতা মামুনুর রশীদ।
তাই তার ছেলের সু-চিকিৎসার জন্য দেশের সরকারসহ সমাজের বিত্তশালী, দানশীল, হৃদয়বানদের নিকট সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন এবং সকলের দোয়া চেয়েছেন। যদি আমরা সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি, তাহলে অতি শীঘ্রই সে সু-চিকিৎসা পাবেন বলে আশাবাদী। সকলের সহযোগিতায় ফিরে পেতে পারে শিশুটি স্বাভাবিক জীবনের।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- মোঃ মামুনুর রশীদ, বিকাশ নাম্বার-০১৭৩৭-৭৭ ৮৫ ৮৮.
(আমাদের খবর এর দৃষ্টিগোচর মানবিক হিসেবে প্রচার)