রাষ্ট্র সংস্কারে শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জাবির বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের

নিজস্ব প্রতিনিধি :‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে বিপ্লবের চূড়ান্ত সফলতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ৷

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূত্র ধরে সৃষ্ট প্রবল গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক ও জনতার প্রাথমিক বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। তবে দমন- নিপীড়নের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা পতিত স্বৈরাচার পুরো দেশবাসীকে সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত রেখে পালিয়ে যাওয়ার কারণে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রায় ৮০ ঘন্টা সরকারবিহীন থাকায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। গত ৮ আগষ্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে।
তবে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা কিছু দুষ্কৃতিকারী সহিংসতা ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার মতো ন্যক্কারজনক কাজে লিপ্ত হয়েছে। আমরা সকল প্রকার সহিংস কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি ও কর্তৃত্ববাদী হাসিনার পলায়নের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সকলকে সংযত আচরণ করার অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ও ৬ জানুয়ারি ২০২৪ বিবৃতির মাধ্যমে অধ্যাপক ড. ইউনূস সহ দেশপ্রেমিক সকল নাগরিকের বিরুদ্ধে পরিচালিত ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছিলো ও সকল রাজনৈতিক উদ্যেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলো।

এতে আরো বলা হয়, গণহত্যা এবং গণতন্ত্র হরণের দায়ে সদ্য-সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখী করে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার রক্তের প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করা হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সবচেয়ে বড় ‘রাজনৈতিক অবিচার’ ও নিপীড়নের শিকার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাশাপাশি বিএনপির সকল নেতা-কর্মী ন্যায়বিচার পাবেন এই প্রত্যাশা করছি।

দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলা হয়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করে জনপ্রতিনিধিদের হাতে দেশ গড়ার দায়িত্ব অর্পণ করার কোন বিকল্প নেই।ই

মন্তব্য করুন