
নিজস্ব প্রতিনিধি : কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের শতবর্ষী গর্জন গাছটি কে বা কারা কাটলো? এমন প্রশ্ন এখন ২ উপজেলার মানুষের মুখে মুখে।
রাতের অন্ধকারে কে বা কারা বন বিভাগের শত বছরের গর্জন গাছটি কেটে দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি সাধন করেছে।
জানা যায়, ১২ জুলাই, শুক্রবার দিবাগত রাতে একদল বনখেকো ভোমরিয়া ঘোনা রেঞ্জ অফিসের পাশে নার্সারির সামনে ১টি বড় আকৃতির গর্জন গাছ কেটে পালিয়ে যায়। এ সময় হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ ইয়াছিন আরফাত সাংবাদিকদের জানান, দুর্বৃত্ত্বদের কাটিয়ে দেয়া গর্জন গাছটি পড়ে তাদের লাইনের তার, ৪ টি খুঁটি, ৫ টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এর ফলে ২ উপজেলার গ্রাহকদের বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ হয়ে গেলে বিকল্প উপায়ে লাইন চালু করা হয়। লাইনের পুনঃসংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎ অফিসের ওই কর্মকর্তা।
ঈদগাঁও ভোমরিয়া ঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এ অপরাধ সংগঠিত করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি ধারণা করছেন, ঈদগড়ের কোনো দুষ্কৃতকারী এ কাজটি করেছে।
কারণ তারা সড়ক থেকে গাছ কেটে ফেলার জন্য বন বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল ওই গর্জন গাছটির কারণে যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছিল। বন বিভাগের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, এভাবেই সরকারি শতবর্ষী বন সম্পদ ধ্বংস না করে বিকল্প পথ তৈরি করে চলাচল করা যেত। কে বা কারা এ অপরাধ সংগঠিত করেছে খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি। গাছটি তাদের হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান আনোয়ার হোসেন খাঁন।আ