
নিজস্ব প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের বড়াই ডাঙ্গী কলেজপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী ভিকটিম আশামনি ও তার স্বামী গত ২৪/০৫/২০২৪ ইং তারিখে বিকাল অনুমান ৫.০০ ঘটিকার সময় বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় চিকিৎসা না করে ভিকটিমকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং এই অবস্থায় গত ২৯/০৫/২০২৪ ইং তারিখে অনুমান ১.০০ ঘটিকার সময় মৃত্যুবরণ করে। ফলে তার মামা আকবর হোসেন রাজিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অফিসার ইনচার্জ একটি অপমৃত্যু মামলা রজু করেন। পরবর্তীতে চাঞ্চল্যকর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিকটিমের মৃত্যুর মূল রহস্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্য আসলে রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গণধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা রজু করেন। পরে রাজিবপুর থানার পুলিশ মূল আসামীসহ দুজনকে গ্রেফতার করেন। কিন্তু বাকী আসামিরা আত্মগোপন করে। উক্ত ঘটনাটি ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট এবং অনলাইন ভিত্তিক মিডিয়ায় অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকে এজাহার নামীয় আসামিগণ গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে আছে। এরই পরিপেক্ষিতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে RAB হেডকোয়ার্টার্স ইন্ট উইং,RAB-1,সিপিএসসি, গাজীপুর এবং RAB-14, সিপিসি-১,জামালপুর কোম্পানির যৌথ আভিযানিক দল ১৫/০৬/২০২৪ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ২.৩০ মিনিটে জিএমপি গাজীপুর বাসন থানাধীন কড্ডা ইটাহাটা এলাকার জনৈক তমিজ উদ্দিন নিবাস এর সামনে হতে পলাতক আসামী সোলায়মান (২৯), পিতা-আবু সামা, সাং টাঙ্গালিয়া পাড়া, থানা-চর রাজিবপুর,জেলা -কুড়িগ্রামকে আটক করতে সক্ষম হয়।আসামির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, আসামি জয়নালর প্ররোচনায় এই ঘৃণ্য কাজটি করেন।উল্লেখ্য যে,অত্র মামলার ০১ ও ০৩ নং আসামী জেল-হাজতে আটক রয়েছে এবং ০২ নং আসামী শুক্কুর আলী কে গ্রেফতারের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। ধৃত আসামীকে চর রাজিবপুর থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। রাজিবপুর উপজেলায় জেলা ডাক বাংলো হলরুমে প্রেস ব্রিফিং করেন ময়মনসিংহের RAB-14 এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ আলিমুত জামান (বিপিএম সেবা), আরো উপস্থিত ছিলেন জামালপুর RAB-14 এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ আব্দুর রাজ্জাকসহ আরো অনেকে।