নিজস্ব প্রতিনিধি : রাউজান পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে (৩৬) র্যাব–৭ এর একটি অভিযানিক দল গ্রেপ্তার করেছে। তরিক্বতভিত্তিক সংগঠন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির দায়ের করা পৃথক তিনটি মামলার আসামি তিনি।
তার বিরুদ্ধে মুনিরিয়ার এবাদতখানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে। র্যাব–৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ শরীফ–উল–আলম জানিয়েছেন, মুনিরীয়া যুব তবলীগের দুটি এবাদতখানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ ৩টি মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন। রাউজানের গহিরা এলাকায় অবস্থান করার খবর পেয়ে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, র্যাবের হস্তান্তর করা আসামি আনোয়ারকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করে রাউজান থানা পুলিশ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, কিছু লোক আনোয়ারের গলায় ঝাড়ু ও জুতা ঝুলিয়ে দাঁড় করে রেখেছে। এসময় তার কাছ থেকে তারা এবাদতখানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার সাথে জড়িত সহযোগীদের অবস্থান জানার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক বছর আগে দুর্বৃত্তরা রাউজানের বিভিন্ন ইউনিয়নে থাকা মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির অন্তত ১৫টি এবাদতখানা ও লাইব্রেরি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে অগ্নি সংযোগ করে। প্রায় সবকটি পাকা ভবনের ইট পাথর খুলে লুট করা হয়েছিল তখন। আওয়ামী দুর্বৃত্তদের হামলা মামলায় হাজার হাজার তরিকতপন্থী এলাকা ছেড়ে পাঁচ বছর ধরে নির্বাসিত জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নির্বাসিত থাকা তরিকতপন্থীরা এলাকায় এসে এবাদতখানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে। এসব মামলায় এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের সুনির্দিষ্ট নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়।আ