অনলাইন ডেস্ক : ভারতের ওয়াক্ফ সংশোধিত আইনে স্থগিতাদেশ দেননি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তবে সংশোধনীর দুটি বিতর্কিত ক্ষেত্র-ওয়াকফ বাই ইউজার সম্পত্তিতে পরিবর্তন ও ওয়াক্ফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য নিয়োগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির শীর্ষ আদালত। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্র ও সব রাজ্যকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আগামী ৫ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন, যেসব সম্পত্তি ব্যবহারে ওয়াক্ফ বা ওয়াক্ফ ব্যবহারকারী (ওয়াক্ফ-বাই-ইউজার) হিসেবে নিবন্ধিত বা নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ঘোষিত হয়েছে, সেখানে কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। রাজ্যের ওয়াক্ফ বোর্ড বা ওয়াক্ফ কাউন্সিলে অমুসলিম সদস্যপদে কোনো নিয়োগ হবে না। ৫ মে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে।
এদিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্রকে হলফনামা দাখিল করে জবাব দিতে হবে।
গত বুধবারের শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৪০ সাল থেকে ‘ভোগদখলকরী ওয়াক্ফ’ রয়েছে। নতুন সংশোধনী কার্যকর হলে সেসব সম্পত্তির কি চরিত্র বদল করা হবে? ওয়াক্ফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শীর্ষ আদালত।
তাদের মন্তব্য, হিন্দু মন্দির বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার বোর্ডে অন্য সম্প্রদায়ের কেউ থাকেন না। সওয়াল চলাকালীনই বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, হিন্দু ধর্মের সম্পত্তি দেখভাল করার বোর্ডে তো অন্য ধর্মাবলম্বীরা থাকেন না। উদাহরণ হিসেবে তিরুপতি বোর্ডের উল্লেখ করেন বিচারপতি কুমার। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে প্রধান বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে কি হিন্দু ধর্মের ট্রাস্টগুলোতে মুসলিমদের সদস্যপদ দেবে কেন্দ্র? এসব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য সাত দিন সময় চেয়েছে কেন্দ্র। তবে এই সময়কালের মধ্যে ওয়াক্ফ বাই ইউজার সম্পত্তির চরিত্র বদলাবে না।
ওয়াক্ফ সংশোধনী আইন মুসলিম স্বার্থবিরোধী বলে অভিযোগ তুলে বড় ধরনের আন্দোলনের পথে হেঁটেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ। দেশজুড়েই বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। ইসলামিক সংগঠন তো বটেই, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে।ই