নিজস্ব প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি বসতঘর পুড়ে গেছে। শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার ডাক্তারের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ ফিরোজ খান জানান, বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান,অগ্নিকাণ্ডে আবদুস শুকুরের সেমি পাকা ঘর, শেখ জাফর উল্লাহর টিন সেট ঘর, মোহসেন আলীর সেমি পাকা ঘর, শেখ শহীদের সেমি পাকা ঘর এবং হোসেনের পাকাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাঁশখালীতে অগ্নিকাণ্ডে ১ বসতঘর পুড়ে ছাই
এদিকে, বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার (৮ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কাথরিয়া ইউনিয়নের বরইতলী এয়াকুল্যারও নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বরইতলী এলাকার এয়াকুল্যারও নতুন বাড়িতে সাহেব মিয়ার পুত্র খায়রা আহমেদের বসতবাড়িতে হঠাৎ আগুন লাগে। খায়রা আহমেদ বাড়ির পাশে একমাত্র মেয়ে রিমার বাড়িতে বেড়াতে গেছিল।
উনার স্ত্রী বাড়িতে একা একা কুরআন তেলাওয়াত করছিল। হঠাৎ দেখে আগুন! বের হয়ে চিৎকার দেয় সে। চিৎকার শুনে আশেপাশের স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণ আনলেও বসতঘরের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে খায়রা আহমেদ এর ভাস্যমতে প্রায় ১০-১৫ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে
রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৭ বসতঘর, অগ্নিদগ্ধ- ৩
চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৭টি কাঁচা বসতঘর। শনিবার (৮ মার্চ) দুপুর পৌনে ২টায় রাউজান পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের শাহ নগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, রমজানের ইফতারি তৈরির জন্য চুল্লিতে চলা দিয়ে রোশনী নামে এক নারী মোবাইল ফোনে কথা বলতেই গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিভাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন মোস্তাফা (৩৫), মো. রানা (২৫) ও রুশনী (৩২)।
আহতের মধ্যে মোস্তাফাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অন্যরা চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নগদ টাকা, আসবাবপত্র, মোটরসাইকেল, গবাদি পশু, স্বর্ণালংকার, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা হলেন, আনোয়ারা বেগম, লোকমান, তৈয়ব, নুরুজ্জামা, রুশনী, মোস্তাফা ও ইলিয়াস। অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সাবের সুলতান কাজল।
তিনি খাদ্যসামগ্রী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যোগাযোগ সম্পাদক ও রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মো. তৌহিদুল আলম, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. আলী সুমন প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে রাউজান ফায়ার সার্ভিসের এন্ড ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর দ্রুত রাউজান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ২টি ইউনিট কাজ করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা করা হয়। আগুনের সূত্রপাত গ্যাস সিলিন্ডার চুলা থেকে।আ