বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ সারাদেশে বিএনপির মানববন্ধন

খবর ডেস্ক :
২৮ অক্টোবরের পর আজ ফের জমায়েতের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের সকল মহানগর ও জেলা শহরে মানববন্ধন করবে দলটির নেতাকর্মীসহ গুম-খুন-নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার নেতাকর্মী ও তাদের পরিবার-স্বজনরা।

একই ইস্যুতে বিএনপির পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে অবহিত করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, মানুষকে গুম, খুন অপহরণ করে, গোপন বন্দীশালা ‹আয়নাঘর› বানিয়ে, কারারুদ্ধ করে বিনাভোটে দেড় দশকের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রেখে শেখ হাসিনা মানবাধিকার ভুলুন্ঠিত করেছেন। আন্তর্জাতিক তদন্ত এবং সমালোচনা সত্ত্বেও, সরকার ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। অবরুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরী করা হয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার হিসাব অনুযায়ী দেড় দশক ধরে এই পর্যন্ত বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ৬৪৭ জন ব্যক্তি গুম হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮৪ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে, ৩৯৯ জনকে জীবিত ফেরত পাওয়া গেছে অথবা গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, ৩ জনের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি এবং ১৬১ জনের এখনো পর্যন্ত কোন খ্জোঁ পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে এম ইলিয়াস আলী ও সাইফুল ইসলাম হিরুর মতো সংসদ সদস্য, কাউন্সিলর চৌধুরী আলম, হুমায়ূন পারভেজ, জাকির, সুমন, দিনার, জুনেদসহ অসংখ্য বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকে অদৃশ্য করা হয়েছে। যদিও, আমাদের হিসেবে-প্রকৃত সংখ্যা আরও তিন থেকে চার গুণ বেশি। কারণ এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে কেবলমাত্র গুম হয়ে যাওয়া পরিবার কর্তৃক প্রদত্ত রিপোর্ট এর ভিত্তিতে, আর অনেক আতঙ্কিত পরিবারই রিপোর্ট করার সাহস পায়নি। বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৬৩দিন গুম করে চোখ বেধেঁ ভারতে ফেলে আসে। এরপর তাকে সেখানে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেখ হাসিনার গুমের ইতিহাসে সেটি আরেকটি নজিরবিহীন ঘটনা।

মন্তব্য করুন