খবর অনলাইন :
চাচাতো বোনের বিয়েতে বেড়াতে এসে মাছবোঝাই পিকআপভ্যান ছিনতাই করেছে চার ছিনতাইকারী। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই ছিনতাইকারী অলিউল্লাহ ও বাপ্পি মীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের কেওয়াবুনিয়া নামক স্থানে সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের সামসু প্যাদার ছেলে ওলিউল্লাহ (৩০) গত ১০ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় মাছের ব্যবসা করে আসছেন। সোমবার রাতে ওলিউল্লাহ তার চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গ্রামের বাড়ি আসেন। বিয়ের কাজ শেষে ওই রাতে তার বন্ধু মাসুম, বাপ্পি মীর ও সোহেল আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কে মাছেরগাড়ি ছিনতাই করতে ঘটখালী এলাকায় অবস্থান নেয়।
পরে মহিষকাটা নামক এলাকায় একটি মাছবোঝাই পিকআপভ্যান তারা আটকে দেন। গাড়িতে থাকা মাছের মালিক তুহিন, চালক নাসির সিপাহী ও হেলপার রনি শরীফকে রশি দিয়ে বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পিকআপভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে পুলিশ ছিনতাই হওয়া পিকআপভ্যানটি উদ্ধারে অভিযান চালায়। ওই রাতে পুলিশ পিকআপভ্যানটি আমতলী-তালুকদার বাজার আঞ্চলিক সড়কের চালিতাবুনিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ দুই ছিনতাইকারী ওলিউল্লাহ ও বাপ্পি মীরকে উত্তর তক্তাবুনিয়া এলাকা থেকে আটক করে। একই সঙ্গে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত পিকআপভ্যান, দেশীয় অস্ত্র (ছ্যানা, দা, তিনটি চাকু ও দুইটি লাঠি) জব্দ করেছে।
এ ঘটনায় মাছের মালিক তুহিন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে ছিনতাই মামলা করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ তাদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত পিকআপভ্যান, দেশীয় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন বলেন, ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া পিকআপভ্যান ও দুই লাখ টাকার মাছ উদ্ধার করা হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।