খবর ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে না পেয়ে অনেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানিয়েছে, কৌশলগত নির্বাচনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ছাড় দিবে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়টি দলের বিভিন্ন স্তরে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পর পরই সারা দেশেই ‘নৌকার’ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। অনেকে ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, অনেকে ঘোষণা দেওয়ার প্রকৃয়ায় রয়েছেন।
এবার প্রতি আসনে গড়ে নৌকার প্রার্থী হতে মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১১ জন। তার মধ্যে একজন করে গত রোববার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনে ‘নৌকার মাঝি’ দেয় আওয়ামী লীগ। এর আগে একই দিনে দলীয় ৩ হাজার ৩শ ৬২জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন আসনে ‘ডামি’ প্রার্থী দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় প্রধান শেথ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সভায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হতে না পারে। সে ক্ষেত্রে একাধিক ডামি প্রার্থী রাখতে মত দেন দলীয় প্রধান। শেখ হাসিনা বলেন, প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় যেন বাধা দেওয়া না হয় সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।
গতকাল সকালে শহীদ ডা. মিলন দিবসে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দল থেকে বিষয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে বলেন, নতুন নতুন সময়ে নতুন নতুন কৌশলও দলকে গ্রহণ করতে হয়। এ সময়ে যে কৌশল দরকার, নেত্রী সে কৌশল ঠিক করেছেন। দলের অবস্থান অনুযায়ী, ভবিষ্যৎ মাথায় রেখে দলীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন এবং দেন। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা যে গাইডলাইন দিয়েছেন, সেটা অনুসরণ করে প্রার্থী হতে বাধা নেই।
অবশ্য এর আগে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়ালে দলে তাবে বিদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা করা হতো। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচন করে অনেক নেতা সংসদ সদস্য হন। তবে দলীয় সূত্রগুলো বলছে, এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এ কারণে এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীয়তায় নির্বাচন করলে তা দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার তা অগ্রহনযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। এ কারণেই এবার নির্বাচনকে অংশগ্রহনমূলক করতে ‘ডামি’ প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে গতকাল সোমবার দিনভর সারা দেশের বিভিন্ন আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।এ ছাড়া পেশাজীবি ও চলচ্চিত্র জগতেরও দুইজন স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় বার্তা পেয়ে অনেকেই অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা না দিলেও অনেকেই ঘোষণা করার কথা ভাবছেন। অনেক নেতার কর্মী ও সমর্থকরা স্বচ্ছ ভারমূর্তির কারণে তাদের প্রার্থী জয়লাভ করবে বলে মনে করছেন। এ ছাড়া নৌকার প্রার্থী উপ জেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে অনেকেই এবার স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলীয়ভাবে নির্দেশনা পেয়ে অনেক দিন থেকে অনেক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ পেতে মাঠে ছিল। আগে থেকেই নিজ নিজ এলাকায় ব্যাপক জনসংযোগ করেছেন নেতারা। এতে মনোনয়ন না পেলেও অনেকের মাঠে একটি স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তৈরী হয়েছে বলে তাদের কর্মী-সমর্থকরা মনে করছেন। এ ছাড়া অনেকেই জনপ্রিয়তা যাচাই করতে ভোটের মাঠে নামার কথা ভাবছেন। আবার বর্তমান সংসদের ৭১ জন সদস্য নৌকার মনোনয়ন হারিয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ মনে করছেন, নৌকার বিপক্ষে লড়েও জয় পেতে পারেন তাঁরা। তাই তাঁরাও এবার লড়তে যাচ্ছে নৌকার বিপক্ষে।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-৫ আসনে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন ওই আসনের প্রয়াত ৪ বারের প্রয়াত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লার বড় ছেলে আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল। জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান সংসদের হুইপ সামসুল হক চৌধুরী নানা ঘটনায় বেশ কয়েকবার বিতর্কের মুখে পড়েন। এবার তাঁর বদলে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন। তবে মাঠ ছাড়ছেন না সামশুল হক। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ার কথা ভাবছেন তিনি।
সিলেট-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সারোয়ার হোসেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নেত্রীর নির্দেশনায় আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হব ইনশা আল্লাহ।’ টানা ষষ্ঠবারের মতো রাজবাড়ী-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়তে চান রাজবাড়ী সদর উপজেলায় টানা চারবারের চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক বিশ্বাস। এজন্য সম্প্রতি তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন চেয়ে পাননি স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল। লম্বা সময় ধরে ওই আসনে নিয়মিত রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি পালন করছেন তিনি। তাঁর বাবা সামসুদ্দিন আহমেদ এখানকার সাবেক সংসদ সদস্য। সাহাবুদ্দিন আহমেদ এবার তাই স্বতন্ত্র হয়ে লড়বেন এখানে। তাঁর বিপক্ষে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম।
যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনে এবার প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন চিকিৎসক তৌহিদুজ্জামান তুহিন। তিনি আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদের জামাতা। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনির। তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ বিষয়ে স্থানীয় সবার মতামত জানতে চেয়েছেন। ফরিদপুর-৪ আসনে আবারও নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। এর আগে তিনি পরপর দুবার নৌকা নিয়ে হেরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন) কাছে। বর্তমান সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নিক্সন এবারও নৌকা চেয়ে পাননি। তবে আগের মতোই এবারও তিনি থাকতে পারেন ভোটের লড়াইয়ের।
রংপুর-৬ আসনে আবারও নৌকা পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। নৌকা না পেয়ে এখান থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম। তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ইতিমধ্যেই।
হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে নৌকা চেয়ে পাননি জনপ্রিয় আইনজীবী ব্যারিষ্টার সায়েদুল হক সুমন। ইতিমধ্যেই ফেসবুকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সায়েদুল হক সুমন নির্বাচনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে ফেসবুকের একাধিক পোস্টে। চাঁদপুর-৪ আসনে আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়া। তিনি চাঁদুপর-৩ আসন থেকেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চাঁদপুর-১ আসনে এবার নৌকা পেয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মাহমুদ। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেন। চাঁদপুরের অন্য আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে তোড়জোড় চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে নৌকা পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান আলম। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মঈনউদ্দিন মঈন। নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে এবার নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন মোশতাক আহমেদ রুহী। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত জালাল উদ্দিন তালুকদারের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা তালুকদার। তিনি নৌকার মনোনয়ন চেয়ে পাননি। দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করেছেন জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্র জানিয়েছে, নাটোর (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন ‘নৌকা’ না পাওয়া সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ। নির্বাচনে অংশ নিতে সোমবার বেলা ৩টার দিকে লালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে তার পক্ষে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন লালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক পলাশ ও চংধুপইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম। নাটোর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বকুল।
এ সময় সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সকাল থেকে ৫ হাজারের অধিক নেতাকর্মী আমার বাসায় ভিড় করেছেন। তারা আমাকে নির্বাচন করতে বলেছেন। যেহেতু নেত্রী বলে দিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা যাবে। নির্বাচন করলে দলের কোনো বাধা নেই, তাই আমি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দ্বিতীয়বারের মত দলের মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির ঝালকাঠি-১ আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এ জন্য মনোনয়ন ফরম তুুলেছিলেন রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জন্য। তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড তাঁকে বিবেচনা করেনি। দলের মনোনয়ন না পেলেও এখন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন মাহি। রাজশাহী-১ আসনের প্রার্থী হতে সোমবার দুপুরে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনের কার্যালয় থেকে তাঁর মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে প্রার্থী হিসেবে মাহিয়া মাহির নাম লেখা হয়েছে শারমিন আক্তার নিপা। মনোনয়নপত্র তোলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নায়িকা নিজেই। ঢাকা-১৯ আসনে মনোনয়ন না পেয়ে মুরাদ-সাইফুলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা দুই জনই ক্ষমতাসীন দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিল খান। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে শাকিল খানের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তার ভাগ্নে শাহরিয়ার নাজিম। এ সময় রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজিব সরদার, প্যানেল চেয়ারম্যান চম্পক কুন্ডু, বাসতলি ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মল্লিক মহিদুল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হুমায়ুন কবির প্রমুখ। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহা. খালিদ হোসেন শাকিল খানের মনোনয়ন ফরম গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঢাকা-২ আসনে (কেরানীগঞ্জ মডেল থানা, সাভারের একাংশ ও কামরাঙ্গীরচর থানা) নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ। রোববার বিকেলে ঢাকা-২ আসনের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে শাহীনের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তাঁর একান্ত সচিব তোফায়েল আহমেদ।