
খবর ডেস্ক :
বান্দরবানের ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে চাকমা সমপ্রদায়ের ঐতিহ্য সংস্কৃতি কৃষ্টিকালচার তুলে ধরে নবান্ন উৎসব শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। ইনস্টিটিউটের আহবায়ক সিং ইয়ং ম্রোর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্যনির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ। আলোচক ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য সত্যহা পাঞ্জি, বান্দরবান সরকারী কলেজের অধ্যাপক দিপন চাকমা, প্রভাষক মেহেদি হাসান, মনিরুল ইসলাম মনু প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের সিনিয়র শিক্ষক সন্তোষ চাকমা। তিনি চাকমা সমাজে নবান্ন উৎসব প্রবন্ধে উল্লেখ করেন কৃষিভিত্তিক সমাজে প্রায় সবদেশে, সব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সব সংস্কৃতিতেই নবান্ন উৎসব পালন বা উদযাপনের প্রথা প্রচলিত রয়েছে।
তা হলো কৃষি ফসল ঘরে তোলার আনন্দানুভূতি, উৎসব উদযাপন ও ভবিষ্যৎ জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় মাঙ্গলিক আচার–অনুষ্ঠান পরিচালনা করা। চাক্মা সমাজে নবান্ন উৎসব হল জুম বা মাঠের নতুন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত করা চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে উৎসব বা অনুষ্ঠান। চাকমা জনগোষ্ঠীর কৃষিজীবী সমাজে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল আচার–অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয়, নবান্ন সেগুলোর অন্যতম। প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বুদ্ধজ্যোতি চাকমা, সুফল চাকমা, উসিথোয়াই মারমা, মংসিং হাই মারমা, আকাশ মারমা, অংচ মং মারমা, পুলু প্রু মারমা প্রমুখ