খবর ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সন্দ্বীপের কয়েকটি স্থানে প্রতিপক্ষের উপর হামলা ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা, শারীরিকভাবে হামলা এমনকি কান ধরিয়ে বাজারে বাজারে ঘুরানোরও অভিযোগ রয়েছে।
এসব অভিযোগের তীর সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। যদিও নির্বাচন পরবর্তী সন্দ্বীপের সন্তোষপুর ইউনিয়নে এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময়ের সময় কোন ধরনের হামলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা থেকে নিজের অনুসারীদের বিরত থাকার নির্দেশ দেন তিনি।
অতিউৎসাহী হয়ে আইনবিরোধী কোন কাজ করতে চাইলে সে যেন সন্দ্বীপ থেকে চলে যায় সে হুশিয়ারিও দেন তিনি।
এমপি মিতার কঠোর নির্দেশের পরেও কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনাগুলো যাতে বড় আকারে সংগঠিত হতে না পারে এবং এসবের রেশ ধরে টানার জন্য গত দুইদিন সন্দ্বীপ চষে বেড়াচ্ছেন চট্টগ্রাম ডিবি পুলিশের বিশেষ টিম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকারের (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) নেতৃত্বে গত ২ দিনের অভিযানে এ পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- রহমতপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জামাল মেম্বার ও শিমুল আর মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের মেহেদী।
রহমতপুর ইউনিয়নের আদম খা এলাকায় শিপন নামে ১জনকে তালতলী বাজার এলাকায় কানে ধরিয়ে ওঠবস ও বাজারে দোকানে দোকানে ঘুরানোর অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।
এদিকে ঈগলের প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে তারা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়েছে বলে অভিযোগ নৌকার কর্মী সমর্থকদের।
এনিয়ে শুক্রবার সন্দ্বীপের শিবেরহাটে সংবাদ সম্মেলন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, শুক্রবার দায়ের করা যে মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে সে মামলার এজহারে ঘটনার উল্লেখিত সময়ে তিনি সন্দ্বীপ ছিলেন বা ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তিনি ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে ৮ জানুয়ারি সন্দ্বীপ ছেড়ে চলে যান। আর ঘটনা ঘটে এর পর।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) দৈনিক আজাদীকে জানান, কান ধরে উঠবস করাসহ সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা, হামলা ও হয়রানির অভিযোগে ডিবির বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করা হয়।
এরমধ্যে ২জনের নামে পূর্বের মামলাও রয়েছে। তিনি আরো জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনে এধরণের অভিযান আবারো চালানো হবে।