খবর ডেস্ক :
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ চৌধুরীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মারামারি ও চাঁদাদাবির অভিযোগে মামলা করেছেন এক নারী।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মগনামা ইউনিয়নের শুদ্ধখালী পাড়া এলাকার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী কুলছুমা আকতার। ১৪ জানুয়ারি আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পেকুয়া থানাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে দাবি করা হয়, ১১ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে শাহাদাত হোসেন ও তার মামা আলমগীর লবণ বিক্রি করে যাওয়ার পথে শুদ্ধখালী পাড়া রাস্তার মাথায় পৌঁছালে ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরীর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা তাদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করার সঙ্গে সঙ্গে ২জনকে ব্যাপক মারধর ও দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে শাহাদাত ও আলমগীরকে মৃত ভেবে রাস্তার ওপর ফেলে চলে যান আসামিরা। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে আসামি পক্ষের লোকজন চিকিৎসা নিতে বাধা দিলে আহতদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
মামলার বাদি কুলছুম আকতার বলেন, ২ বছর আগে ইউনুছ চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি মনে করেন আমার স্বামী তাকে ভোট দেননি। এরপর থেকে নানাভাবে আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। আমাদের লবণ জমি ও লবণের ব্যবসা আছে। এই ব্যবসা করতে হলে চেয়ারম্যানকে চাঁদা দিতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন। গত ১১জানুয়ারি এই চাঁদা না দেওয়ায় আমার স্বামী ও আমার মামা শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. আবু হুবাইব বলেন, মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরীসহ ১০জনের বিরুদ্ধে কুলছুমা আকতারের দায়ের করা ফৌজদারি দরখাস্তটি দীর্ঘ শুনানি শেষে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করতে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী লুৎফুর রহমান বলেন, ১০জনের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি দরখাস্তের শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত ওই ফৌজদারি দরখাস্ত পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী বলেন, এটি মিথ্যা অভিযোগ। কোনো কারণ ছাড়াই ওই ঘটনার সঙ্গে আমাকে জড়ানো হয়েছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, এখনও আদালতের নির্দেশনার কপি পাইনি। আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।