পূর্ব থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া ওসি শাহ আলমকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তরায় বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালিয়ে ছাত্র ও জনতা হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক ওসি শাহ আলমকে গ্রেফতার ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে স্থানীয় ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

শুক্রবার দুপুরে উত্তরা বিএনএস সেন্টার থেকে মিছিল শুরু করে হাউজ বিল্ডিং হয়ে আজমপুর পূর্ব থানার পাশে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল চলাকালে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন, “শেখ হাসিনার দালালেরা হুঁশিয়ার Didn’t,” “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে, এবং “ছাত্রলীগের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও।

মিছিল শেষে বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পলাতক আসামি শাহ আলমকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। আন্দোলনকারীরা আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার মধ্যে খুনি ওসিকে গ্রেফতার করা না হলে উত্তরা অচল করে দেওয়া হবে।

এ ঘটনায় উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রওনক জাহান বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, “ছাত্র-জনতা সবসময় দেশের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে, এবারও তাদের সহযোগিতায় পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করব। তদন্ত চলছে, এবং খুব দ্রুত আপনাদের ভালো খবর দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। এ সময় ডিসি রওনক জাহান জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করার আশ্বাস দেন এবং জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশাসন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাহ আলমকে গ্রেফতার করতে না পারলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে এবং বড় ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে থানার হেফাজত থেকে পালিয়ে যান ওসি শাহ আলম। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলি চালানোর ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। তার পলায়নের ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জরুরি সেবা প্রার্থীরা পুলিশের উপস্থিতি না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন।

সাবেক ওসি শাহ আলম সর্বশেষ কুষ্টিয়ার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত ছিলেন। তার পালানোর ঘটনায় প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকে কঠোর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জুমার নামাজের পর শুরু হওয়া মিছিলের কারণে উত্তরা এলাকায় সাময়িক যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। তবে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি শেষ করেছে।ই

মন্তব্য করুন