নিজস্ব প্রতিনিধি : পুলিশের ওপর হামলা করে বিস্ফোরক মামলার আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানা বিএনপির সভাপতিসহ ৪ নেতাকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শওকত আলম খাজা স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়। নোটিশে তাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সহযোগিতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা দেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়। তারা হলেন- আকবর শাহ থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার সেলিম, সহ-সভাপতি রেহান উদ্দিন, উত্তর পাহাড়তলী ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জমির আহমেদ ও আকবর শাহ থানা যুবদলের সাবেক সদস্যসচিব ইলিয়াস খান।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের সকল পর্যায়ের পদ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার বিস্ফোরক মামলার ১ আসামিকে গ্রেফতারের পর পুলিশের ওপর হামলা করে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকায়। ওই আসামির নাম রায়হান উদ্দিন। তিনি জেলার সীতাকুন্ড থানার একটি বিস্ফোরক মামলার আসামি। ওই ঘটনায় নাছির উদ্দিন নামের ১ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কনস্টেবল। আহত পুলিশ সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় নগর ডিবি পুলিশের এসআই আমির হোসেন বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় মামলা করেছেন। এতে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৬০ জনকে আসামি করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগর ডিবি পুলিশ সীতাকুন্ড থানার একটি বিস্ফোরক মামলার ৫৪ নম্বর আসামি রায়হান উদ্দিনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় আহত হন পুলিশ কনস্টেবল নাছির উদ্দিন। একপর্যায়ে হামলাকারীরা গ্রেফতার আসামি রায়হানকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার পর আকবর শাহ থানা ও ডিবি পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। গ্রেফতার করা হয় হামলায় জড়িত মো. মফিজ, ইকবাল, ফয়েজ ও শিমুল মিয়া নামের ৪জনকে।
এদিকে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিএনপি জড়িত থাকার খবরে দলের ভেতর তোলপাড় শুরু হয়। এই প্রেক্ষিতে হাইকমান্ডের নির্দেশে ওই ৪জনকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।ই