সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক : ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের একটি ভিডিও কনটেন্ট হঠাৎ করেই বুধবার রাতে বাংলাদেশে সাময়িকভাবে ব্লক হয়ে যায়, আর এতেই সৃষ্টি হয় জোর আলোচনার।
পিনাকী নিজেই এই তথ্য সামনে আনেন তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে। তিনি লেখেন, "আমার আজকের ভিডিও অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে ব্লক করে রেখেছে। শেখ হাসিনা সরকারও আমার ভিডিও ব্লক করেনি, অথচ এই সরকার তা বন্ধ করল।" এই মন্তব্যের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। নেটিজেনদের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে—আসলে কার নির্দেশে এই ব্লক?
বিষয়টি পরিষ্কার করতে পিনাকী যোগাযোগ করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফায়েজ আহমেদের সঙ্গে। তার ভাষ্যমতে, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না, এবং রাতের মধ্যেই ভিডিওটি আবারও বাংলাদেশে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তবে পিনাকী এখানেই থেমে থাকেননি। তিনি দাবি করেন, "যতক্ষণই ব্লক থাকুক না কেন, এ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত।
এদিকে পিনাকী ভট্টাচার্য ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময়ে অনলাইনে সরব হয়ে প্রথম আলোচনায় আসেন। এরপর সরকারের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে রাজনৈতিক বিতর্কের মুখে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে প্রথমে ব্যাংকক এরপর ফ্রান্সে পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয়ে পিএইচডি করছেন বলে জানা যায়।
পিনাকী ইতোমধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতি, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ১৯টি বই লিখেছেন। এক সময় বামপন্থী রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে তিনি ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্স (সাবেক টুইটার)–এ সক্রিয় একজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। সম্প্রতি জুলাইয়ের ছাত্র অভ্যুত্থান চলাকালে ছাত্র-জনতার পক্ষে দাঁড়িয়ে সোচ্চার ভূমিকা রাখেন অনলাইনে।ই