
নোয়াখালী বিভাগ চাই, প্রাণের দাবীতে সমাবেশ ও মিছিল। ছবি-আমাদের খবর।
নুশরাত রুমু, নোয়াখালী থেকে : নোয়াখালীকে বিভাগ করার জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১৯৯৪ সাল থেকে। দীর্ঘ ৩২ বছরেও তা বাস্তবায়নের সুযোগ হয়নি। ইতিহাস, ঐতিহ্যের ধারক নোয়াখালী নিজস্ব ভাষার স্বকীয়তা, মেঘনার পাড়ের অপার সম্ভাবনা থাকা স্বত্বেও অনুন্নত অবকাঠামো ও প্রশাসনিক সুবিধা না থাকায় নোয়াখালী অনেকটাই পিছিয়ে আছে। বৃহত্তর নোয়াখালী লক্ষ লক্ষ প্রবাসীদের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখে কিন্তু নোয়াখালী কোনো বিমানবন্দর নেই তাই প্রবাসীদের দূর্ভোগ চরমে। সম্প্রতি কুমিল্লা বিভাগ বানাতে নোয়াখালীকে যুক্ত করতে চাওয়ার প্রতিবাদে নোয়াখালীবাসী তীব্র প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে। নোয়াখালী ফেনী, লক্ষ্মীপুরকে সাথে নিয়ে স্বতন্ত্র বিভাগ চায়। এজন্য নোয়াখালীতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হচ্ছে।
এদিকে, গত শুক্রবার ১৭ অক্টোবর বিকাল ৩ টায় নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা টেকনিক্যাল স্কুলের মাঠে নোয়াখালীর ৯ উপজেলা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহাসমাবেশ করে। নির্দলীয় সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে ৯ উপজেলার প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে দলে দলে যোগ দেয় সাধারণ মানুষরা। উক্ত মহাসমাবেশে কথা বলেন ৯ উপজেলার প্রতিনিধিবৃন্দ। বেগমগঞ্জের প্রতিনিধি টি আই সুজন, সোনাইমুড়ীর প্রতিনিধি রাহাত, সুবর্ণচরের হেলাল, মাহমুদ, সেনবাগের ইমন, কবিরহাটের নীরব, চাটখিলের আবিদ, রনি, হাতিয়া থেকে নাসিম, নোয়াখালী সদরের মিরাজ, নীরব। দলে দলে লোক নিয়ে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন নোয়াখালী পৌরসভা ছাত্র প্রতিনিধি ওয়াসিম ও বিশাল, বেগমগঞ্জের ইউসুফ, ব্লাডগ্রুপ প্রধান মাসুম মীর্জা।
এ সময় নোয়াখালী বিভাগের দাবিতে স্লোগান স্লোগানে পুরো সমাবেশস্থল উত্তাল হয়ে ওঠে।
এর আগেও বেগমগঞ্জের উদ্যোগে চৌরাস্তায় ব্লকেড কর্মসূচী ও হেলিপেড মাঠে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের নিয়ে সমাবেশ করেছিল। কুমিল্লায় পর পর দুবার বাসে হামলার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ ও মশাল মিছিলের আয়োজন করে। পুরো নোয়াখালী থেকে ঢাকা সংসদ ভবন পর্যন্ত একই স্লোগান। সবার দাবি একটাই নোয়াখালী বিভাগ চাই।