
খবর ডেস্ক:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে থানা পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি, হুমকি ধমকি, অব্যাহত হামলা ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করার প্রতিবাদে কামাল হোসেন নামে এক আওয়ামীলীগ নেতা ও তার পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করে।
গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি ও আবিরপাড়া গ্রামের মৃত বদু মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন সোনাইমুড়ী সাংবাদিক কর্ণারে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জনান, পার্শ্ববর্তী সাতঘরিয়া গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মো. হৃদয় ও নাজির আহম্মেদের ছেলে মো. সোহেল তার একটি সরিষাক্ষেত কিছুদিন পূর্বে হালচাষ করে নষ্ট করে। এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রাম্য শালিশে তাদের জরিমানা করা হয়। সেই ঘটনায় তারা জরিমানা তো দেয়নি বরং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। গত ১০ মার্চ রোববার রাতে তিনি আমিশাপাড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আবিরপাড়া হুকু মিয়ার বাড়ীর পাশে হৃদয় ও সোহেল পথরোধ করে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করে। এ সময় আমার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে আমি অচেতন হয়ে পড়লে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।
কামাল হোসেন ১১ মার্চ সোমবার সোনাইমুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন ঘটনার তদন্তের নামে সোনাইমুড়ী থানার এক দারোগা ও ওসি অনৈতিক সুবিধা দাবি করেন। পরে কামাল হোসেন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ সুপার থানা পুলিশকে মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। থানা পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার সুযোগে গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবার হৃদয় ও সোহেল ও আরও ৮/১০ জন সন্ত্রাসী মোটর সাইকেলে এসে কামালের বাসায় ককটেল বিস্ফোরণ করে ও বাড়ীর দরজা, জানালায় ভাঙচুর করে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কামাল হোসেন আরও দাবি করেন, ঘটনার একসপ্তাহ অতিবাহিত হলেও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে পুলিশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিচ্ছে। এ সময় তিনি সন্ত্রাসীদের এ অব্যাহত হামলা, হুমকি ধমকি, পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা, মামলা নিতে অনৈতিক দাবির বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা চান।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী কামাল হোসেন এর স্ত্রী নাজমা বেগম, ছোট ভাই মির হোসেন, ছেলে সাইমুন, মেয়ে শারমিন আক্তার ও মারজাহান আক্তারসহ প্রতিবেশীরা।